নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন মালালা এবং কৈলাশ সত্যার্থী
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ অক্টোবর ২০১৪, ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
এবছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন ভারতীয় মানবাধিকার কর্মী কৈলাশ সত্যার্থী এবং পাকিস্তানী স্কুল ছাত্রী মালালা ইউসুফজাই।
অসলোতে দুই পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি বলেছে, শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং শিশুদের শিক্ষার অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাদের এই পুরস্কারের জন্য বেছে নেয়া হয়েছে।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের ইতিহাসে মালালা ইউসুফজাইর মতো এত অল্প বয়সে আর কেউ এই পুরস্কার পাননি। ১৭ বছর বয়সী মালালা ইউসুফজাই গত বছরও এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুরস্কার পাননি।
শিশুদের শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকা জন্য নরওয়ের নোবেল কমিটি মালালা ইউসুফজাই এবং ভারতীয় কৈলাশ সত্যার্থীর প্রশংসা করেছে।
মালালা ইউসুফজাই পাকিস্তানের তালেবান নিয়ন্ত্রিত একটি অঞ্চলে মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে তার সাহসী ভূমিকার কারণে প্রথম আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজরে আসেন। বিবিসির উর্দু সার্ভিসের জন্য তিনি ২০০৯ সালে একটি দিনলিপি লেখা শুরু করেন।
তালেবান জঙ্গীরা মালালাকে স্কুল থেকে ফেরার পথে মাথায় গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায়। ঐ ঘটনা তাকে বিশ্বজোড়া পরিচিতি এনে দেয়।
ঐ হামলা থেকে সেরে উঠার পর মালালা মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে তার প্রচারণা অব্যাহত রাখেন। তিনি এই বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এক বিশেষ অধিবেশনে বক্তৃতাও দেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফ নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ায় মালালাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “মালালা পাকিস্তানের গর্ব। তার সংগ্রাম এবং অঙ্গীকার থেকে বিশ্বের ছেলে-মেয়েদের অনেক কিছু শেখার আছে।”
২০১৩ সালে মার্কিন সাময়িকী টাইম মালালাকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি বলে বর্ণনা করে। গত বছর মালালা ইউরোপীয় ইউনিয়নের শাখারভ মানবাধিকার পুরস্কার পান।
ভারতের শিশু অধিকার কর্মী কৈলাশ সাতিয়ার্থী ছিলেন পেশায় ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনীয়ার। কিন্তু প্রায় তিন দশক আগে তিনি শিশুদের অধিকার রক্ষায় ‘বাচপান বাচাও আন্দোলন’ বা শৈশব রক্ষা আন্দোলন শুরু করেন। ভারতে শিশু শ্রম বন্ধ এবং শিশু পাচার প্রতিরোধে তার প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।