কাল শহীদ মিনারে নেয়া হবে ভাষা মতিনের লাশ
প্রকাশিত হয়েছে : ৮ অক্টোবর ২০১৪, ৫:১৫ অপরাহ্ণ
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনের লাশ।
এর আগে তার লাশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে।
তার স্ত্রী গুলবদন নেছা মনিকা এ খবর জানান।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আবদুল মতিনের স্ত্রী গুলবদন নেসা সাংবাদিকদের জানান, তার স্বামীর লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে দেয়া হবে। এ ছাড়া তার চোখ দেয়া হবে সন্ধানীকে।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর লাইফ সাপোর্টে দেয়ার আগে নিজের চোখ সন্ধানীকে দেয়ার ঘোষণা দেন আবদুল মতিন।
জানা গেছে, মৃত্যুর পরপরই আইসিইউতে কর্ণিয়া সংগ্রহ করে সন্ধানী।
নিজের দেহ সন্ধানীকে দেয়ার ব্যাপারে ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন একটি চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আমি আবদুল মতিন, পিতা-মৃত আবদুল জলিল, মাতা-মৃত আমেনা খাতুন স্বেচ্ছায় শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ অবস্থায় আমার মরণোত্তর দেহ বা লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের শিার্থীদের এনাটমি ফিজিওলজি ইত্যাদি শেখার কাজে লাগবে জেনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপরে কাছে দেহ সম্পূর্ণ এবং সন্ধানীকে চোখ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে আমার স্ত্রী ও কন্যাদের সম্মতি রয়েছে। কাজেই মৃত্যুর পরে আমার মৃতদেহ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অর্পণ করার জন্য আমার স্ত্রী ও কন্যাদের নির্দেশ দিচ্ছি।’
আবদুল মতিনের স্ত্রী আরো জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডা. হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি আবদুল মতিনকে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানো ও নামাজে জানাজাসহ অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
গত ১৮ আগস্ট মস্তিষ্কে রক্তরণে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আবদুল মতিনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) তে নেয়া হয়। ২০ আগস্ট অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মস্তিষ্কের জমাটবাঁধা রক্ত অপসারণ করা হয়। তখন থেকে তার অবস্থা অপরিবর্তিত ছিল। অবস্থার অবনতি হলে গত শুক্রবার সকাল ৮টায় তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়।
৮৮ বছরের এই ভাষা সংগ্রামী ডায়াবেটিস, রিকারেন্স হার্নিয়া ও প্রস্টেট গ্ল্যান্ডসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন।