আজ শুক্রবার আরাফাহ দিবস
আরাফাহ দিবসের মর্যাদা ও ফযিলত
প্রকাশিত হয়েছে : ২ অক্টোবর ২০১৪, ৬:১০ অপরাহ্ণ
॥ মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান ॥
আরাফাহ দিবস হলো এক মর্যাদাসম্পন্ন দিন। গত ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে হজ্ব কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যিলহজ্জ মাসের নবম তারিখ আজ শুক্রবার আরাফাহ দিবস। এ দিনটি অন্যান্য অনেক ফযীলত সম্পন্ন দিনের চেয়ে বেশি মর্যাদার অধিকারী। যে সকল কারণে এ দিবসটির এত মর্যাদা তার কয়েকটি নীচে আলোচিত হলো- ইসলাম ধর্মের পূর্ণতা লাভ, বিশ্ব মুসলিমের প্রতি আল্লাহ্র নিয়ামতের পরিপূর্ণতা প্রাপ্তির দিন। হাদিসে এসেছে ‘‘ইমাম বুখারী (রাহ.) তাঁর নিজ সূত্রে তারিক বিন শিহাব (রাহ.) থেকে বর্ণনা করেন যে, ইহুদীরা উমর (রা.)-কে বলল, ‘আপনারা এমন একটি আয়াত তেলাওয়াত করে থাকেন যদি সে আয়াতটি আমাদের প্রতি অবতীর্ণ হতো তাহলে আমরা সে দিনটিকে ঈদ হিসেবে উদযাপন করতাম।’ উমর (রা.) এ কথা শুনে বললেন, ‘আমি অবশ্যই জানি কখন তা অবতীর্ণ হয়েছে, কোথায় তা অবতীর্ণ হয়েছে, আর অবতীর্ণ হওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ (সা.) কোথায় ছিলেন। হ্যাঁ, সে দিনটি হলো আরাফাহ দিবস, আল্লাহ্র শপথ! আমরা সে দিন আরাফাতের ময়দানে ছিলাম। আয়াতটি হলো-’’ ‘‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জীবন বিধান হিসেবে মনোনীত করলাম।’ [সূরা মায়িদাহ (৫): ৩] (সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৪৬০৬)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে রজব (রাহ.)’ সহ অনেক উলামায়ে কেরাম বলেছেন যে, এ আয়াত নাজিলের পূর্বে মুসলিমগণ ফরজ হিসেবে হজ্জ আদায় করেননি। তাই হজ্জ ফরজ হিসেবে আদায় করার মাধ্যমে দ্বীনে ইসলামের পাঁচটি ভিত্তি মজবুত ভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো। (ইবনে রজব, লাতায়েফুল মাআরেফ, পৃ. ৪৮৬)
এ দিন হলো ঈদের দিন সমূহের একটি দিন। হাদিসে এসেছে- ‘‘ইমাম আবু দাউদ (রাহ.) সাহাবি আবু উমামাহ (রা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আরাফাহ দিবস, কুরবানীর দিন ও আইয়ামে তাশরীক (কুরবানী পরবর্তী তিন দিন) আমাদের ইসলামের অনুসারীদের ঈদের দিন। আর এ দিনগুলো খাওয়া-দাওয়ার দিন।’ (সহীহ সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং- ২১১৪) ইতিপূর্বে আলোচিত উমর (রা.) বর্ণিত হাদিসের ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘সূরা মায়েদার এ আয়াতটি নাজিল হয়েছে দুটো ঈদের দিনে। তা হলো জুম’আর দিন ও আরাফাহ দিবস।’ (সহীহ জামি’ তিরমিজি, হাদীস নং- ২৪৩৮) এ হাদিস দুটো দ্বারা বুঝা যায় যে, আরাফাহ দিবসকে ঈদের দিনের অন্তর্ভূক্ত বলে গণ্য করা হয়েছে।
আরাফাহ দিবসের রোজা দু’বছরের কাফ্ফারা ঃ যেমন হাদিসে এসেছে ‘‘সাহাবি আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে আরাফাহ দিবসের সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘বিগত ও আগত বছরের গুনাহের কাফফারা হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে।’ (সহীহ মুসলিম হাদীস নং- ১১৬৩)
আরাফাহ দিন গুনাহ মাফ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের দিন ঃ যেমন হাদিসে এসেছে ‘‘আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আরাফাহ দিন আল্লাহ রাব্বুল ‘‘আলামীন তার বান্দাদের এত অধিক সংখ্যক জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন যা অন্য দিনে দেন না। তিনি এ দিনে বান্দাদের নিকটবর্তী হন ও তাদের নিয়ে ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করে বলেন, ‘তোমরা কি বলতে পার আমার এ বান্দাগণ আমার কাছে কি চায়?’ (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ১৩৪৮)
ইমাম নববী (রাহ.) বলেন, ‘এ হাদিসটি আরাফাহ দিবসের ফজিলতের একটি স্পষ্ট প্রমাণ।’ ইবনে আব্দুল বির (রাহ.) বলেন, ‘এ দিনে মু’মিন বান্দারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হন। কেননা, আল্লাহ রাব্বুল ‘‘আলামীন গুনাহগারদের নিয়ে ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করেন না। তবে তওবা করার মাধ্যমে ক্ষমা-প্রাপ্তির পরই তা সম্ভব।’ হাদিসে আরো এসেছে- ‘‘আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারীম (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ রাব্বুল ‘‘আলামীন আরাফাতে অবস্থানকারীদের নিয়ে আসমানের অধিবাসীদের কাছে গর্ব করেন। আল্লাহ বলেন, ‘আমার এ সকল বান্দাদের দিকে চেয়ে দেখ! তারা এলোমেলো কেশ ও ধুলোয় ধূসরিত হয়ে আমার কাছে এসেছে।’ (আহমদ ও হাকেম; হাদিসটি সহীহ)
আরাফাহ দিবসে যে সকল আমল শরীয়ত দ্বারা প্রমাণিত:
সিয়াম পালন করা ঃ এ দিনে সিয়াম পালন করা। যেমন হাদিসে এসেছে- ‘‘সাহাবি আবু ক্বাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আরাফার দিনের সাওম আল্লাহ রাব্বুল ‘‘আলামীন বিগত ও আগত বছরের গুনাহের কাফফারা হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন।’ (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ১১৬৩) মনে রাখতে হবে যে, আরাফার দিনে সাওম তারাই রাখবেন যারা হজ্জ পালনরত নন। যারা হজ্জ পালনে রত তারা আরাফার দিবসে সওম পালন করবেন না। যেমন ইতোপূর্বে আলোচনা হয়েছে। আরাফাহ দিনে হজ্জ পালনরত ব্যক্তি রাসূলে কারীম (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করেই ঐ দিনের সাওম পরিত্যাগ করবেন। যেন তিনি আরাফাতে অবস্থানকালীন সময়ে বেশি বেশি করে যিক্র, দু’আসহ অন্যান্য আমলে তৎপর থাকতে পারেন। আর এ দিনে শরীরের সমস্ত অঙ্গ পত্যঙ্গগুলোকে সকল হারাম ও অপছন্দনীয় কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। হাদিসে এসেছে- ‘‘মুসনাদে আহমদে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে যে, এ দিনে যে ব্যক্তি নিজ কান ও চোখের নিয়ন্ত্রণ করবে তাকে ক্ষমা করা হবে। (আহমদ ও হাকেম, হাদিসটি সহীহ) মনে রাখা দরকার যে, শরীরের অঙ্গ সমূহ হারাম ও অপছন্দনীয় কাজ থেকে হেফাজত করা যেমন সাওমের দাবি তেমনি হজ্জেরও দাবি। কাজেই সর্বাবস্থায় এ দিনে এ বিষয়টির প্রতি যতœবান হতে হবে। আল্লাহ ও তার রাসূলের আদেশ বাস্তবায়ন ও নিষেধগুলোকে পরিহার করতে হবে।
অধিক পরিমাণে যিক্র ও দু‘আ করা ঃ নবী কারীম (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে উত্তম দু‘আ হলো আরাফাহ দিবসের দু‘আ। আর সর্বশ্রেষ্ঠ কথা যা আমি বলি ও নবীগণ বলেছেন, তা হলো- ‘আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকার কোন মাবুদ নেই। তিনি একক তার কোন শরিক নেই। রাজত্ব তারই আর সকল প্রশংসা তারই প্রাপ্য, এবং তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।’ (তিরমিজি, হাদীস নং- ২৮৩৭: মুয়াত্তা মালেক; হাদিসটি সহীহ) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় ইবনে আব্দুল বার (রাহ.) বলেন : ‘এ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে আরাফা দিবসের দু‘আ নিশ্চিতভাবে কবুল হবে আর সর্বোত্তম যিকর হলো লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’ (ইবনে আবদুল বার, আত-তামহীদ) ইমাম খাত্তাবী (রাহ.) বলেন, ‘এ হাদিস দ্বারা বুঝে আসে যে দু‘আ করার সাথে সাথে আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামিনের প্রশংসা ও তার মহত্ত্বের ঘোষণা দেয়া উচিত।’ (ইমাম খাত্তাবী, শান আদ-দুআ, পৃ. ২০৬)
তাকবীর পাঠ করা ঃ ইতোপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে, যিলহজ্জ মাসের প্রথম দিকের আমলের মাঝে একটি আমল হলো সব সময় ও সকল স্থানে তাকবীর পাঠ করা মুস্তাহাব। অবশ্য যে অবস্থায় আল্লাহর যিক্র করা যায় না সে সময় ব্যতীত। যিলহজ্জ মাসের এ তাকবীরের ব্যাপারে উলামায়ে কেরাম বলেন, এ তাকবীর আদায়ের পদ্ধতি সাধারণত দু’প্রকার: ক. আত-তাকবীরুল মুতলাক: অর্থাৎ, যে তাকবীর সর্বদা পাঠ করা যেতে পারে। এ তাকবীর যিলহজ্জ মাসের শুরু থেকে ১৩ই যিলহজ্জ পর্যন্ত দিন-রাতের যে কোন সময় আদায় করা যেতে পারে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা সামনে আসবে। খ. আত-তাকবীরুল মুকাইয়াদ: অর্থাৎ, বিশেষ সময়ের তাকবীর। সেটা হলো ঐ তাকবীর যা সালাতের পরে আদায় করা হয়ে থাকে। আর এ তাকবীরের বিষয়ে দু’টি মাসআলা রয়েছে।
তাকবীর পাঠের শুরু ও শেষ সময় ঃ এ দ্বিতীয় প্রকার তাকবীর যা সলাতের পরে পাঠ করা হয়ে থাকে তা কোন্ তারিখ থেকে কোন্ তারিখ পর্যন্ত পাঠ করা হবে এ প্রশ্নে উলামাদের মাঝে একাধিক মত রয়েছে। হাফেজ ইবনে হাজার (রাহ.) এ সকল মতভেদ উল্লেখ করার পর বলেন: ‘কোন্ তারিখ থেকে কোন্ তারিখ পর্যন্ত তাকবীর পাঠ করা হবে এ বিষয়ে রাসূলে কারীম (সা.) থেকে স্পষ্ট কোন হাদিস নেই। (ইবনে হাজার, ফাতহুল বারী, ৩/৫৩৫) এ বিষয়ে সবচেয়ে বিশুদ্ধ মত হলো যা সাহাবায়ে কেরাম বিশেষ করে আলী (রা.) ও ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত আছে। তা হলো যিলহজ্জ মাসের নবম তারিখ থেকে মিনার শেষ দিন অর্থাৎ ১৩ তারিখ পর্যন্ত তাকবীর পাঠ করা। মুহাদ্দিস ইবনুল মুনজিরসহ অনেকে এ বিষয়টি বর্ণনা করেছেন। (ঐ) শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রাহ.) বলেছেন, ‘তাকবীর পাঠের সময়সীমার ব্যাপারে এ মতটি হলো সবচেয়ে বিশুদ্ধ মত।’ (ইমাম ইবনে তাইমিয়া, মজমু আল-ফাতাওয়া, ২৪/২২০)
যে সকল সলাতের পর এ তাকবীর পাঠ করা হবে ঃ ইমাম বুখারী (রাহ.) তার সহীহ আল-বুখারীতে এ বিষয়ে একটি অধ্যায় রচনা করেছেন, তার নাম দিয়েছেন ‘মিনাতে অবস্থানের দিনগুলোতে তাকবীর ও যখন আরাফাতের দিকে রওয়ানা করা হয়।’ এ অধ্যায়ে তিনি লিখেছেন, ‘উমর (রা.) মিনাতে সলাতের সময় তাকবীর পাঠ করতেন। মসজিদে অবস্থানকারীগণ তা শুনে তাকবীর পাঠ করতেন। এমনিভাবে যারা বাজারে থাকতেন তারাও তাকবীর পাঠ করতেন, ফলে মিনা উপত্যকা তাকবীর ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে যেত। আর ইবনে উমর (রা.) এ দিনগুলোতে তাকবীর পাঠ করতেন। তাকবীর পাঠ করতেন সলাতের পর, বিছানায় অবস্থানকালে, বাজারে, জনসমাবেশে, রাস্তা-ঘাটে সর্বত্র।’ (বুখারী, কিতাবুল ঈদাইন)
মাইমুনাহ (রা.) কুরবানীর দিন তাকবীর পাঠ করতেন। মহিলাগণও আবান ইবনে উসমান ও উমর বিন আল আজিজের পিছনে সলাত আদায় শেষে পুরুষদের সাথে আইয়ামে তাশরীকের দিনগুলোতে মসজিদে তাকবীর পাঠ করতেন।’ ইমাম বুখারীর এ উদ্বৃতির ব্যাখ্যায় হাফেজ ইবনে হাজার (রাহ.) বলেন, ‘সাহাবায়ে কেরামের এ সকল আমল দ্বারা প্রমাণিত হয় যে কুরবানীর পূর্ব ও পরবর্তী দিনগুলোতে সলাতের পর তাকবীর পাঠ করা হবে, তেমনি সলাত ব্যতীত অন্যান্য সময়েও তাকবীর আদায় করা হবে।’ (ইবনে হাজার, ফাতহুল বারী, ২/২৩৬)
এ সকল বিষয় বিবেচনায় তাকবীর পাঠের সময় নিয়ে উলামাদের মাঝে কয়েকটি মত পরিলক্ষিত হয়। নীচে মতগুলো তুলে ধরা হলো- ১. তাকবীর পাঠ করা হবে সকল ধরণের সলাতের পর। ২. তাকবীর পাঠ করা হবে শুধু ফরজ সলাতের পর। নফল সলাতের পর নয়। ৩. তাকবীর পাঠ করবে পুরুষগণ, মহিলাগণ পাঠ করবে না। ৪. জামাতে সলাত শেষে তাকবীর পাঠ করা হবে। একা একা সলাত আদায় করলে তাকবীর পাঠ জরুরি নয়। ৫. কাজা সলাতে তাকবীর পাঠ দরকার নেই। ৬. মুকিম ব্যক্তি তাকবীর আদায় করবে, মুসাফির নয়। ৭. শহরের অধিবাসীরা তাকবীর পাঠ করবে, গ্রামের অধিবাসীরা নয়। কিন্তু ইমাম বুখারীর উদ্ধৃত আমল দ্বারা বুঝা যায় সর্বাবস্থায়, সকল ধরনের সলাত শেষে, সকলস্থানে, নারী-পুরুষ, মুক্বীম-মুসাফির, শহরবাসী-গ্রামবাসী নির্বিশেষে সকলে তাকবীর পাঠ করবে। (ইবনে হাজার, ফাতহুল বারী, ২/২৩৭) শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রাহ.)-এর মত হলো সকল সলাতের শেষে তাকবীর পাঠ করবে। (ইমাম ইবনে তাইমিয়া, মজমু আল-ফাতাওয়া, ২৪/২২০)
ইমাম বুখারী ও হাফেজ ইবনে হাজার (রাহ.)-এর ব্যাখ্যা দ্বারা বুঝা যায় যে, মীনার দিনগুলোর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঈদের দিনসহ সর্বদা তাকবীর আদায় করা যেতে পারে ও সলাতের পরও তাকবীর আদায় করতে হবে। মিনার দিন বলতে যিলহজ্জ মাসের আট তারিখের জোহর থেকে ১৩ই যিলহজ্জের আসর পর্যন্ত সময়কে বুঝায়।
তাকবীর বিষয়ে উপরোক্ত আলোচনার সারকথা: তাকবীরের দিন হলো যিলহজ্ব মাসের নবম তারিখ থেকে তেরো তারিখ পর্যন্ত। এ সময়ে সর্বদা সর্বাবস্থায় তাকবীর পাঠ করা যেতে পারে। সর্বাবস্থায় এ তাকবীরকে বলা হয় আত-তাকবীরুল মুতলাক বা সাধারণ তাকবীর। এটাও সুন্নাত। আর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ দিনগুলোতে সলাতের পর আদায় করতে হবে। ফরজ সলাত শেষের এ তাকবীরকে বলা হয় আত-তাকবীরুল মুকাইয়াদ বা বিশেষ তাকবীর। আমরা দ্বিতীয়টির ব্যাপারে যতœবান হলেও প্রথমটির ব্যাপারে অত্যন্ত উদাসীন। তাই প্রথমটি অর্থাৎ আত-তাকবীরুল মুতলাক প্রচলনের দিকে আমাদের নজর দেয়া দরকার। লেখক ঃ শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও কলামিষ্ট