লতিফ সিদ্দিকীকে খালিস তওবা ও প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে ——আনজুমানে আল ইসলাহ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৫:৪৪ অপরাহ্ণ
উপমহাদেশের প্রখ্যাত ওলী শামসুল উলামা আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর হাতেগড়া সংগঠন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম মনোওর আলী, যুগ্ম মহাসচিব আহমদ হাসান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, অর্থ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ আবূ ছালেহ মুহাম্মদ কুতবুল আলম, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরীসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ হজ্জ, প্রিয়নবী (সা.) ও তাবলীগ জামাত নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর বেফাস মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামের মৌলিক ৫টি বিধানের অন্যতম হজ্জ ও বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য অত্যন্ত ধৃষ্ঠতাপূর্ণ। কোনো মুসলমান এরূপ বক্তব্য দিলে সে আর মুসলমান থাকে না। কেননা এ বক্তব্য সরাসরি কুরআন ও সুন্নাহ অবমাননার শামিল। লতিফ সিদ্দিকী এরূপ মন্তব্যের মাধ্যমে সালমান রূশদী, তসলিমা নাসরিন ও দাউদ হায়দারদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন। তাকে জনসমক্ষে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা ও মন্তব্য প্রত্যাহার করে খালিস তওবা করতে হবে। নতুবা বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করবে। নব্বই ভাগ মুসলমানের এ দেশে তার স্থান হবে না। নেতৃবৃন্দ বলেন, পবিত্র হজ্ব এবং বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর ও ধৃষ্ঠতাপূর্ণ মন্তব্য করে লতিফ সিদ্দিকী বিশ্বের সকল মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছেন। তার এ বক্তব্যে মুসলিম জনতা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। নেতৃবৃন্দ লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রীসভা থেকে বহিষ্কার ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, তসলিমা নাসরিনসহ যারা এদেশে ইসলামের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে তাদের পরিণতি শুভ হয়নি। লতিফ সিদ্দিকীকেও এদেশের মানূষ ক্ষমা করবে না।