সিলেটের রিকাবিবাজারে মৎস্য ব্যবসায়ীদের উপর পুলিশের হামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১১:১০ পূর্বাহ্ণ
এক পুলিশ সদস্যের বৈরী আচরণের প্রতিবাদ জানাতে মৎস্য ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় পুলিশ এসে অবরোধকারীদের রাস্তা ছাড়তে বলে। ব্যবসায়ীরা সরে না যাওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ আনা হয়। এ সময় ব্যবসায়ীদের উপর লাঠিচার্জ ও কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে পুলিশ।
সিলেট সংবাদদাতা ::
সিলেট নগরীর রিকাবিবাজারে ব্যবসায়ীদের উপর পুলিশ হামলা ও গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক পুলিশ সদস্যের বৈরী আচরণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে রিকাবিবাজার পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে ব্যবসায়ীরা। এতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ব্যবসায়ীদের হটিয়ে দিতে শটগানের গুলি বর্ষণ করে পুলিশ। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় তিন জনকে।
ব্যবসায়ীরা জানান, এক পুলিশ সদস্যের বৈরী আচরণের প্রতিবাদ জানাতে তারা ওই সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় পুলিশ এসে অবরোধকারীদের রাস্তা ছাড়তে বলে। ব্যবসায়ীরা সরে না যাওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ আনা হয়। এ সময় ব্যবসায়ীদের উপর লাঠিচার্জ ও কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে পুলিশ।
পুলিশের ছোঁড়া শটগানের গুলিতে রিকাবিবাজার শুকতারা রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী আজহার আলীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।
নগরীর রিকাবি বাজারের একাধিক মাছ ব্যবসায়ী জানান, সিলেট পুলিশ লাইনের হাবিলদার ফারুক আহমদের কাছে মাছ বাকি নেওয়া বাবদ মাছ ব্যবসায়ী বাবুল একাই প্রায় ৮ হাজার টাকা পান।
মঙ্গলবার দুপুরে মাছ কিনতে যান হাবিলদার ফারুক আহমদ। এ সময় বাবুলের কাছ থেকে ৪শ’ টাকার মাছ কেনেন তিনি। বাবুল বকেয়া পাওনা টাকা দাবি করলে হাবিলদার ফারুক উত্তেজিত হয়ে সাজিয়ে রাখা মাছের ডালা উল্টে ফেলে দেন।
রিকাবি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলতাফ মিয়া পূর্বদিককে বলেন, পুলিশ সদস্য ফারুক আহমদ বিভিন্ন সময়ে ক্ষুদে মৎস ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে বাকিতে মাছ নিয়েছেন। এখন টাকা চাইলে তিনি (ফারুক) উত্তেজিত হয়ে ব্যবসায়ীর সাজিয়ে রাখা মাছের ডালা উল্টে ফেলে দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ হামলা করে।
এদিকে, বেলা ২টায় বিষয়টি আপোসে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে রিকাবিবাজারে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) শাহ মো. মোবাশ্বের।
কোতোয়ালি থানার লামাবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে গুলির হিসাব এখনো করিনি।
এক পুলিশের সাথে ঝামেলার জের ধরে ব্যবসায়ীরা গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক অবরোধ করায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান তিনি।