রহিম শহিদ ও তার ভাই মুজিবুরের শাস্তি দাবি
অধ্যক্ষ ননী গোপাল রায়কে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ
শহর প্রতিনিধি ::
আলহাজ্ব মখলিছুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ ননী গোপাল রায়কে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ও তার ছোট ভাই কতৃক শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে আজ সোমবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে পৃথক পৃথক ভাবে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের সাথে একাত্বতা পোষণ করে আলোর দিশারি নামে একটি সমাজ উন্নয়ন সংস্থাও মানববন্ধনে অংশ নেয়।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপর ১ টায় মৌলভীবাজার কোর্ট পয়েন্টে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজের শিক।ষক শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। তাদের এই কর্মসূচিতে অংশ নেন এই দু কলেজ ছাড়াও অন্যান্য কলেজের শিক্ষক ও আইনজীবী ও জনপ্রতিনিধি। কর্মসূচি চলার সময় বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক মো. আব্দুল খালিক, প্রফেসর মামুনুর রশিদ, রাজনগর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক এ টি এম এমদাদুল হক, রাজনগর মুফজ্জল হোসেন মহিলা কলেজের শিক্ষক নিপুল চন্দ্র দাশ, এডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ, ফনিন্দ্র কুমার ভট্টাচার্য, পৌর-কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান সুজিত দাশ, সুজন সম্পাদক জহর লাল দত্ত, শিক্ষার্থী অপূর্ব সোহাগ,রায়হান আনসারী প্রমুখ। এর আগে সকাল ১১ টায় প্রেস ক্লাবের সম্মুখে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন উত্তম রায়, কৌশিক দে, সঞ্জয় রায়, গোপাল রায়, ইসহাক আহমদ চৌধুরী, সাঈদ আহমদ আদনান, ভৌমিক দেব, প্রদীপ রঞ্জন প্রমুখ। এই সময় বক্তারা অধ্যক্ষ ননী গোপাল রায়কে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় আওয়ামীলীগ নেতা এম এ রহিম শহীদ ও তার ছোট ভাই মুজিবুর রহমানের শাস্তি দাবি করেন। উভয় কর্মসূচিতেই দাবি জানানো হয় একজন শিক্ষককে লাঞ্চনা করে যারা এরা সমাজের কেমন মানুষ? এদের বিচারের দাবি তোলা হয়। এ ছাড়াও এই ঘটনায় মৌলভীবাজার মডেল থানা লাঞ্চিত অধ্যক্ষের মামলা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা।
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও আলহাজ মখলিছুর রহমান কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর ননী গোপাল রায় কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা এম এ রহিম শহীদ ও তার ছোট ভাই মুজিবুর রহমান কতৃক গত ২৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) লাঞ্ছিত হন। তার মুখে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পাওয়ায় তিনি সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নেন। এই ঘটনা গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের নিকট নিজেও এই ঘটনা প্রকাশ করেন। এর পূর্বে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। ঘটনা জানাজানির পর থেকে বিভিন্ন মহলে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।