নিউইয়র্কে নাগরীগ সংবর্ধনায়
হরতাল দিয়ে মানবতাবিরোধীদের বাঁচানো যাবে না – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি বা দুটি হরতাল ডেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ঠেকানো যাবে না। তাতে দেশের মানুষের সমর্থনও জুটবে না।
২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রবাসীদের আয়োজনে ‘সার্বজনীন নাগরিক সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠান তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রসঙ্গে আরো বলেন, ‘বিচার শুরু হয়েছে। কয়েকজনের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আরো যারা এই অপরাধে জড়িত, তাদের সবাইকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ও বিএনপি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি জানি না কি ছিল বিএনপির মনে। তবে এখন তারা বুঝতে পারছে নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে।’
বর্তমান সরকার সম্পর্কে বিএনপির নেতিবাচক মন্তব্য সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভুল সিদ্ধান্তের জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বকে চড়া মূল্য দিতে হয়। বিএনপি তাই নানা ধরনের মন্তব্য করে নিজেদের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তকে বৈধ প্রমাণ করতে চাইছে।’
প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, বাংলাদেশের ওপর আল্লাহর বিশেষ রহমত আছে বলেই বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এতে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির হাত থেকে দেশ রক্ষা পেয়েছে।
কেবল দেশের রাজনীতি নয়, প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলায় দুজন বাঙালি নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়েও কথা বলেন। এ সময় মার্কিন প্রশাসনের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশের মতো দেশে তাদের একজন নাগরিক নিহত হলে যুক্তরাষ্ট্র এ নিয়ে সরব হয়ে উঠতো।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মার্কিন সরকারকে প্রশ্ন করতে চাই যুক্তরাষ্ট্রের মতো সভ্য দেশের পথেঘাটে কিভাবে একজন বাঙালি নিহত হয়? আমরা এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের দ্রুত গতি বিশ্বে বিরল একটি নজির।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আব্দুল লতিন সিদ্দিকী, প্রবাসী কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, পরারাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রমুখ।