রাজনগরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৮:২৯ পূর্বাহ্ণ
রাজনগর প্রতিনিধি ::
রাজনগরের ভূজবল গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩টি বিল্ডিং সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ঘর থেকে বের করা যায়নি এক টুকরো কাপড়ও। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা। পুড়ে গেছে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৭০ ভরি স্বর্ণালংকারও। স্থানীয় লোকজন ও মৌলভীবাজার থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে ঘটনার শিকার ব্যক্তিরা বলছেন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও পল্লী বিদ্যুতের অফিসে ফোন দেয়ার পরও দুপুর পর্যন্ত তারা ঘটনা স্থালে যায়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভুজবল গ্রামের পীরেরবাড়িতে ৪টি পাকা বিল্ডিং ছিল। পুড়ে যাওয়া ৩ বিল্ডিংয়ে মৃত খন্দকার আব্দুর রহমানের ৩ ভাই একান্নবর্তী পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টার সময় মৃত খন্দকার আব্দুর রহমানের ছেলে খন্দকার আব্দুল কাদিরের পাকা ঘরে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়লে খন্দকার আব্দুর রহমান, খন্দকার তৈয়ব আলী, খন্দকার সিকান্দর আলীর ৩টি পাকা ঘর সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ও মৌলভীবাজার থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ৩ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ভোর সাড়ে ৫টার সময় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। ঘুমিয়ে থাকা নারী শিশুদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টায় থাকার কারণে ঘর থেকে কোন কিছুরই বের করা সম্ভব হয়নি। এতে কোরবানীর পশু ক্রয়ের জন্য খন্দকার বৈয়ব আলীর ছেলে নজাবত আলীর ঘরে রাখা নগদ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, খন্দকার সেকান্দর আলীর ঘরে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৪০ ভরি স্বর্ণা লংকার এবং খন্দকার আব্দুর রহমানের ছেলে খন্দকার রমযান আলীর ঘরে থাকা নগদ ১লাখ টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণালংকার পুড়ে যায়। এ ছাড়াও ওই ৩টি ঘরের লোকজনরে ব্যবহৃত কাপড়, মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ, পাসপোর্ট, জমির কাগজপত্রসহ যাবতীয় মালামাল সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়ে যায়। ওই বাড়ির খন্দকার নজাবত আলী বলেন, আগুন লাগার পর আমারা পল্লী বিদ্যুতের লোকজনদের ফোন দিলেও দুপুর পর্যন্ত তারা আসেনি। উপজেলা চেয়ারম্যান আছকির খান, নির্বাহী অফিসার মো. মুজিবুর রহমান, ওসি মো. নজিম উদ্দীন ও ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান খয়রুল মজিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মৌলভীবাজার ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মফিজুল ইসলাম জানান, বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে, পৌনে ২ঘন্টার চেষ্টায় নেভানো সম্ভব হয়েছে।
রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুজিবুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। ৩টি ঘরের সম্পূর্ণ পড়ে গেছে। এতে ৭০-৮০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি।