রাজনগরে কর্মীদের ৯ মাস ধরে বেতন দিচ্ছে না বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বিডিএসসি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ
রাজনগরে মানব উন্নয়নের জন্য স্বাক্ষরতা উত্তর ও অব্যাহত শিক্ষা প্রকল্প-২ এর ৩৪টি কেন্দ্রর ১৩৮জন কর্মীর ৯ মাসের ২৭ লাখ টাকা বকেয়া বেতন দিচ্ছে না ‘বিডিএসসি’ নামে এনজিও সংস্থাটি।
আব্দুর রহমান সোহেল : :
রাজনগরে মানব উন্নয়নের জন্য স্বাক্ষরতা উত্তর ও অব্যাহত শিক্ষা প্রকল্প-২ এর ৩৪টি কেন্দ্রর ১৩৮জন কর্মীর ২৭ লাখ টাকা বকেয়া বেতন দিচ্ছে না ‘বিডিএসসি’ নামে একটি এনজিও সংস্থা। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ৯ মাসের ২৭ বকেয়া লাখ টাকা আদায়ে ওই সংস্থার কর্মীরা দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও সুরাহা হয়নি বেতন ভাতার। বেতন না পাওয়ায় এসব কর্মীরা হতাশায় ভোগছেন।
কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজনগর উপজেলায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে মানব উন্নয়নের জন্য স্বক্ষরতা উত্তর ও অব্যাহত শিক্ষা প্রকল্প-২ বাস্থবায়নের জন্য প্রথমে এনজিও সংস্থা ‘এফআইভিডিভি’ ২ বছর কাজ করে। এ প্রকল্পের অধিন উপজেলার ৩৪টি কেন্দ্রে ১৩৮জন কর্মী কাজ করে। একটি কেন্দ্রে দুই বেলা ৩০ জন নারী ও ৩০ জন ১১-৪৫ বছর বয়সী পুরুষকে স্বাক্ষর জ্ঞান এবং সেলাই ও ইলেক্ট্রিক কাজ শিখানো হয়। এফআইভিডিভির পরে এ কাজ পায় উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো। এ এনজিও সংস্থা প্রকল্পটি ছেড়ে দেয় অপর এনজিও সংস্থা ‘বাংলাদেশ ডেভলাপমেন্ট সার্ভিস সেন্টারে’র (বিডিএসসি) কাছে। ২০১২ সালের জুন থেকে ওই এনজিও সংস্থা এক বছর প্রকল্পটি পরিচালনা করে। এ সময় তারা উপজেলার ৩৪টি কেন্দ্রের ওই প্রকল্পের অধিন ১৩৮জন কর্মীর প্রথম ৩ মাসের বেতন ভাতা পরিশোধ করে। পরবর্তীতে আর কোন বেতন-ভাতা আদায় করেনি। বাংলাদেশ ডেভলাপমেন্ট সার্ভিস সেন্টারের (বিডিএসসি) কাছে পরবর্তী ৯ মাসের বকেয়া ২৭ লাখ অনাদায় থেকে যায়। এদিকে এসব কেন্দ্র পরিচালনার জন্য শিক্ষকদের মাধ্যমে ৩৫০টাকা মাসোহারায় ঘর ভাড়া নেয়া হয়। যা এখনো বলবত রয়েছে। এসব পাওনা আদায়ের জন্য কর্মীরা বিডিএসসির কাছে বারবার ধরণা দিলেও তারা কাল ক্ষেপন করছে। ফলে এসব কর্মী হতাশায় ভুগছেন।
এ প্রকল্পের কর্মী সুপারভাইজার বিকাশ দেব বলেন, প্রকল্প শেষ হয়ে গেলেও শেষ ৯ মাসের বেতন না দেওয়ার ১৩৮জন কর্মী হতাশায় ভুগছি। উপায়ান্তর না দেখে আমারা প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছি। এরপরও কোন লাভ হচ্ছে না । বিডিএসসির ওই সময়ে ট্রেইনারের দায়িত্বে থাকা গনেশ নাইডু (বর্তমানে রাজনগরের একটি চা বাগানে কর্মরত) বলেন, এ সংস্থাটি আমাদের বেতন আত্মসাৎ করেছে। আমারও ৬ মাসের বেতন পাওনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে মৌলভীবাজার উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক আমিনুল কবির বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয় অবগত আছেন। এ সংস্থাটি সরকারের কাছ থেকে টাকা না পাওয়ায় দিতে পারছে না। প্রোগ্রামটি বন্ধ আছে।