রাজনগরে ডাকাত সন্দেহে পুলিশকে অবরোধ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৫:০৮ অপরাহ্ণ
রাজনগর উপজেলার প্রেমনগর গ্রামে ওয়ারেন্টের আসামী ধরতে গেলে ডাকাত সন্দেহে অবরুদ্ধ করে রাখে এলাকাবাসী। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় পুলিশের পোশাক দেখে উত্তেজিত এলাকাবাসী শান্ত হলে রক্ষা মিলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার সময়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের প্রেমনগর গ্রামে মৃত আজির উদ্দীনের ছেলে নারী নির্যাতন মামলার ওয়ারেন্টের আসামী লখন মিয়াকে (৩৫) ধরতে যান রাজনগর থানার এসআই আব্দুর রহমান তরফদার ও এসআই শাহিন মিয়া। সঙ্গে মামলার বাদীনির ভাই ও বাবাও ছিলেন। রাত ১টার দিকে লখন মিয়ার ঘরের দরজা খোলার জন্য বলে পুলিশ। এসময় ঘরের মহিলারা আশে পাশের কয়েকটি বাড়িতে মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেন তাদের বাড়িতে ডাকাত পড়েছে। ডাকাত পড়ার খবর কয়েক মিনিটের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সারা গ্রামে। হাল্লা-চিৎকার করে উত্তেজিত এলাকাবাসী লাঠি-সোটা নিয়ে এসে ওই বাড়ি ঘিরে রাখে। এসময় পুলিশ উত্তেজিত লোকজনদের শান্ত করার জন্য বাঁশি বাজানো ও নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিতে থাকে। সড়কে দাঁড়ানো পুলিশের ব্যবহৃত লাইটেসের চাবি ছিনিয়ে নেয় উত্তেজিত লোকজন। এভাবে কাটে প্রায় ২০ মিনিটি। ঘটনা স্থালে আসেন স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন মিয়া। পরে স্থানীয় কিছু লোক এবং ইউপি সদস্য পুলিশ কর্তাদের চিনতে পেরে তারা উত্তেজিত লোকজনদের শান্ত করলে রক্ষা মিলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে। পরে ওই বাড়ি তল্লাশি করে লখন মিয়াকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন মিয়া বলেন, এলাকায় আগেও কয়েকবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এজন্য মানুষজন উত্তেজিত হয়ে ডাকাত ভেবে অবরোধ করে রেখেছিল। পরে আমি যাওয়ার পর পুলিশ চিনতে পারায় আর কোন ঘটনা ঘটেনি।
রাজনগর থানার এসআই আব্দুর রহমান তরফদার বলেন, আমরা ওয়ারেন্টমূলে আসামী ধরতে গিয়েছিলাম। বাড়ির লোকজন আমাদের দেখেও বিভিন্নজনকে ডাকাত পড়েছে বলে এলাকার লোকজনদের ফোন দিয়েছিল। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও কিছু পরিচিত লোকজন আমাদের দেখে চিনতে পেরেছ। উত্তেজিত এলাকাবাসী গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নিয়েছিল। পরে দিয়ে দিয়েছে।