ঈদ উপলক্ষে গরম হয়ে ওঠছে চট্টগ্রামের মসলার বাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৪:০৯ অপরাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের মসলার বাজার গরম হয়ে উঠেছে। বাজারে দাম বেড়ে যাওয়া মসলার মধ্যে আছে ধনিয়া, মরিচ ও রসুন। কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম । সবজির মধ্যে দাম বেড়েছে ফুলকপি, টমেটো ও ধনেপাতার।
গত একমাসের ব্যবধানে মরিচ, ধনিয়া ও রসুনের দাম কেজিতে ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন এসব পণ্যের খুচরা বিক্রেতারা।
নগরীর রিয়াজ উদ্দিন বাজার ও কাজির দেউড়ী কাঁচা বাজার ঘুরে দেখো গেছে, দাম বাড়ার ক্ষেত্রে শীর্ষে আছে ধনিয়া। গত অগাস্টে মাসে খুচরা বাজারে ধনিয়া বিক্রি হয় প্রতি কেজি ১৮০ টাকায়। গত একমাসের ব্যবধানে কয়েক ধাপে দাম বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। চীন থেকে আমদানি করা রসুনের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়।
গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেয়াঁজের দাম কমেছে কেজিতে চার থেকে ছয় টাকা।
ভাল মানের ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায়।
রিয়াজউদ্দিন বাজারের জগদীশ স্টোরের স্বত্তাধিকারী জগদীশ চন্দ্র দাশ বলেন, ঈদ উপলক্ষে বাজারে এসব পণ্যের চাহিদা বাড়ায় বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে গত একমাসে পাইকারি বিক্রেতারা এসব পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন। “পাইকারি থেকে বেশি দামে কেনায় আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।”
বাড়ছে শুকনা মরিচের দরও। রিয়াজ উদ্দিন বাজারের ফয়সাল স্টোরের মালিক মো. ফয়সাল বলেন, ভারতীয় মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৩০ টাকায় আর দেশি শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়। দুই সপ্তাহে দুই ধরনের মরিচের দামই কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
বাজারে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা। ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আর দেশি আদা আকারভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি।
বাজারে মসলার দাম বাড়লেও কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি দাম কমেছে প্রতি কেজিতে ২৫ টাকা। গত সপ্তাহের ১৪৫ টাকা কেজি দরের ব্রয়লার মুরগি শুক্রবার বিক্রি হয় ১২০ টাকায়। রিয়াজ উদ্দিন বাজারের মুরগি বিক্রেতা আলমগীর বলেন, ঈদ যত এগিয়ে আসছে ব্রয়লার মুরগির দাম তত কমে যাচ্ছে।
তবে হেরফের হয়নি ইলিশের দামে। আগের মতই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৬০০ থেকে ৮০০ হাজার টাকার মধ্যে।
এছাড়া সবজির দর স্থিতিশীল থাকলেও ফুলকপি ও টমেটোর দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের ১২০ টাকা কেজি দরের ফুলকপি শুক্রবার বিক্রি হয় ১৬০ টাকায়। আর কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে টমোটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
রিয়াজউদ্দিন বাজারের সবজি বিক্রেতা আলম সৈয়দ বলেন, “কিছুদিন আগের বৃষ্টির কারণে ফুলকপি পঁচে যায়। বৃষ্টির আগে রিয়াজউদ্দিন বাজারে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ বস্তা ফুলকপি আসত সেখানে গতকাল এসেছে মাত্র ৩ বস্তা ফুলকপি।” এছাড়াও বেড়েছে ধনে পাতার দাম। কেজিতে প্রায় ৭০ টাকা বেড়ে ধনেপাতা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়।
রিয়াজউদ্দিন বাজারের ধনে পাতার পাইকারী বিক্রেতা আহমন নবী বলেন, সরবরাহ কম থাকায় ধনেপাতার দাম বেড়েছে।