ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, জাবি ছাত্রলীগের দুজন আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার জাবি ছাত্রলীগের দুজনকে আটক করা হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ও পরিসংখ্যান ভবনের ১২২ নম্বর কক্ষে জীববিজ্ঞান অনুষদের দ্বিতীয় পর্বে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে মুঠোফোন ব্যবহারের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন পরীক্ষার্থী হুমাইয়া আতিয়া। এরপর হুমাইয়াকে প্রক্টরের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। প্রক্টরের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মো. মামুনুর রশিদ নামের এক যুবককে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মামুন জানান, হুমাইয়াকে ভর্তি করানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৩৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রাকিবুল ইসলাম ও পরিসংখ্যান বিভাগের ৪১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আরিফুল ইসলামের সঙ্গে সাড়ে চার লাখ টাকায় চুক্তি হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী পরীক্ষার হলে ঢুকে হুমাইয়া মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের ‘সেট কোড’ পাঠাবেন। এরপর তাঁর মুঠোফোনে প্রশ্নের উত্তর আসবে। চুক্তির টাকা না পাওয়া পর্যন্ত হুমাইয়ার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সনদ রাকিবুল নিজের কাছে রাখবেন বলেও শর্ত ছিল।
প্রক্টর তপন কুমার সাহা জানান, তাঁর মুঠোফোনের খুদে বার্তায় ‘সেট কোড’ পাঠানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আটককৃতদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে মো. রাকিবুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমি শুধু মামুনকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চক্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি।’ রাকিবুল ইসলাম আরও জানান, এই চক্রের মূল হোতা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও রসায়ন বিভাগের ৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আসিফ আহম্মেদ।
যোগাযোগ করা হলে আসিফ বলেন, ‘আমি তো এসবের সঙ্গে জড়িত না। তা ছাড়া আমি রাকিবুলকে চিনিও না।’
তবে প্রক্টর তপন কুমার সাহা বলেন, ‘আমার কাছে ছাত্রলীগের কারও নাম আসেনি।’
গত শনিবার সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে চারজনকে আটক করে প্রক্টরিয়াল বডি। সে সময়ও এর সঙ্গে ছাত্রলীগের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তখনো প্রক্টরিয়াল বডি কারও নাম পায়নি বলে জানায়।