জামায়াত নিষিদ্ধ করতে আইনের সংশোধনী চূড়ান্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ
জামায়াতে ইসলামীর বিচার করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ২০১৪ সংশোধন শিগগিরই মন্ত্রিসভায় উঠছে।
পূর্বদিক ডেস্ক ::
স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ২০১৪ সংশোধন শিগগিরই মন্ত্রিসভায় উঠছে। এরই মধ্যে আইনটি সংশোধনের জন্য খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী মাসে মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আইনটির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংগঠনকে নিষিদ্ধ ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিধান রেখে আইসিটি আইন সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়ায় বিদ্যমান আইনের ১০টি ধারায় সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি ধারায় কেবল ‘ব্যক্তি’ শব্দের পাশাপাশি ‘সংগঠন’ শব্দটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
খসড়ার ২০ ধারার ২ উপধারায় বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল দোষী সাব্যস্ত সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারবেন। সংগঠন বা অন্য কোনো নামে ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবেন। বিদ্যমান আইনের ২০ ধারায় কেবল ব্যক্তির সাজার বিধান রয়েছে।
জামায়াতের বিচার করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনটি (আইসিটি) সংশোধনের কাজ আগস্টে শেষ হয়।
যুদ্ধাপরাধের বিচারের লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের অধীনে ২০১০ সালে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয়। এর আগে ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন, ২০০৯ প্রথম দফায় সংশোধন করা হয়। এর পর ২০১২ সালে দ্বিতীয় সংশোধনীতে আসামির অনুপস্থিতিতে তাকে পলাতক ঘোষণা করে বিচার এবং এক ট্রাইব্যুনাল থেকে অন্য ট্রাইব্যুনালে মামলা স্থানান্তরের বিধান যুক্ত করা হয়। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৃতীয় দফায় আইনটিতে সংশোধন আনা হয়।
বর্তমানে চতুর্থ দফায় আইন সংশোধনের কাজ চূড়ান্ত। বিদ্যমান আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তিবিশেষের বিচার করার বিধান থাকলেও কোনো সংগঠনের বিচারের বিষয়টি উল্লেখ নেই। এবার সংশোধন করে বিচারে আইনি জটিলতা দূর করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এই সংশোধনের কার্যকারিতা ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
একাত্তরে হত্যা, গণহত্যাসহ সাত ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে প্রসিকিউশনে আবেদন করা হয়। তদন্ত সংস্থার তৈরি করা প্রতিবেদনে সে সময়কার জামায়াতের সহযোগী ১২৭টি সংগঠনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানানো হয়। পাশাপাশি জামায়াতের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ও তাদের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামকে অপরাধী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অভিযুক্ত করে নিষিদ্ধের সুপারিশও করা হয়।