দুর্নীতির অভিযোগে সুনামগঞ্জে জেলা রেজিস্টারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : :
সুনামগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার, ব্যাংক ম্যনেজারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দুর্নীতির অভিযোগ এনে স্পেশাল মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো.ইসরাইল হোসেনের অদালতে এ মামলা দায়ের করেন দিরাই উপজেলার মকসদপুর গ্রামের রফু মিয়া চৌধুরীর ছেলে ছায়াদ মিয়া চৌধুরী ওরফে শাহেদ মিয়া চৌধুরী। শাহেদ চৌধুরী বোন রুমী বেগম চৌধুরীর আমমুক্তার নামার ক্ষমতাবলে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-স্পেশাল মামলা নং ২৭/২০১৪।
মামলার আসামীরা হচ্ছেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুনামগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার ও বর্তমান সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার খন্দকার সাহিদুজ্জামান, উত্তরা ব্যাংক সুনামগঞ্জ শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও বর্তমান ঢাকা মিরপুর শাখার ব্যবস্থাপক সুলতান উদ্দিন, সুনামগঞ্জ শহরের তেঘড়িয়া গ্রামের আজহারুল ইসলাম টিটু ও তার বাবা আব্দুর রহিম তালুকদার, একই শহরের বড়পাড়ার মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মালেক, হাছননগরের ওয়াজিদ উল্লাহর ছেলে তাজ উদ্দিন, সুনামগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নকলকারক নীলিমা রায়, একই অফিসের পাঠক রইছ মিয়া ও মোকাবেলা কারক শহীদুল হক।
মমামলার কৌশলী অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামান জানান, আদালত পিটিশন মামলাটি গ্রহণ করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কমিরপুর ইউনিয়নের মৃত রফু মিয়া চৌধুরীর মেয়ে বৃটিশ নাগরিক রুমী বেগম-এর ২০০৫ সালে বিয়ে হয় সুনামগঞ্জ সদর শহরের তেঘড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহিম তালুকদারের ছেলে আজহারুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে। এর পর রুমী কয়েক বার দেশে এসে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করে। এসময় তিনি তার স্বর্ণালঙ্কার ও দামী কাপড় চোপড় রেখে যান। স্বামী ও শ্বশুরের পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে রুমী কয়েক দফায় কয়েক লাখ টাকা দেন। স্বামীকে লন্ডন নেওয়ার উদ্দেশ্যে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল দেখাতে স্বামীর একাউন্টে ১৫ লাখ টাকা রাখেন। পরে শ্বশুর আব্দুর রহিম তালুকদার এর নিকট নির্ধারিত মূল্যে ৬ শতক জায়গা ক্রয় করেন। কিন্তু এতে স্বামী ও শ্বশুর আরো লোভী হয়ে ২০১০ সালের ৯ নভেম্বর সুনামগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা রেজিস্টার খন্দকার সাহিদুজ্জামানের কাছ থেকে অসাধু উপায়ে নন এনকামব্রেন্স সার্টিফিকেট নেন। পরে এ নন এনকামব্রেন্স সার্টিফিকেট দেখিয়ে উত্তরা ব্যাংক সুনামগঞ্জ শাখায় ওই জমি বন্ধক রেখে জমির প্রকৃত মালিক রুমী বেগমকে না জানিয়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপক সুলতান উদ্দিনের সঙ্গে আতাত করে ২০১৩ সালে টিটু নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স দীপক এন্টারপ্রাইজের নামে ২০ লাখ টাকা ঋণ নেন। পরে এ ঋণ রিকভারি করে একই ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকা ঋণ নেন টিটু। মামলায় উল্লেখ করা হয়, এদিকে টিটু স্ত্রী রুমীর স্বাক্ষর জাল করে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য একটি অনুমতি পত্র তৈরি করে দ্বিতীয় বিয়েও করেন। মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়,উত্তরা ব্যংক সুনামগঞ্জ শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক সুলতান উদ্দিনের যোগজাযশে সাবেক ভারপ্রাপ্ত জেলা রেজিস্টার খন্দকার সাহিদুজ্জামান এর বরাবর ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর নন এনকামব্রেন্স সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করা হলে কোন যাচাই-বাছাই ছাড়াই পরদিন ৯ নভেম্বর নন এনকামব্রেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করেন।