নতুন পদ্ধতিতে হচ্ছে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষা
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৮:০০ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
২ ঘণ্টায় ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস করতে ৫০ শতাংশ নম্বরের বাধ্যবাধকতাসহ নানা পরিবর্তন এনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৪ সংক্রান্ত গেজেট গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন এ বিধিমালায় চাকরিতে যোগদানের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি। আগামী (৩৫তম) বিসিএস পরীক্ষা থেকেই এটি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।
প্রিলিমিনারির পাশাপাশি বিসিএস লিখিত পরীক্ষার নম্বর বণ্টনেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে কারিগরির পাশাপাশি সাধারণ ক্যাডারদের ১১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে। উভয়ের ক্ষেত্রে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ করা হয়েছে।
লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২০০ নম্বরের জন্য ৪ ঘণ্টা ও ১০০ নম্বরের জন্য ৩ ঘণ্টা সময়ের বিধান রাখা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য গড়ে ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। তবে কোনো বিষয়ে লিখিত পরীক্ষায় ৩০ শতাংশের কম নম্বর পেলে তা গণনা করা হবে না। মৌখিক পরীক্ষায়ও পাস করতে ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। আগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাসের জন্য ৪৫ শতাংশ নম্বর পেলে চলত।
এছাড়া প্রিলিমিনারি পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃপরীক্ষণের সুযোগ বাতিল হয়েছে। এমনকি কোনো প্রার্থী বা তার প্রতিনিধি কোনোভাবে উত্তরপত্র দেখতে পারবেন না। লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃপরীক্ষণের সুযোগও বাতিল হয়েছে নতুন নিয়মে। পাশাপাশি মৌখিক পরীক্ষার নম্বর গোপন রাখা হবে।
পরীক্ষার আবেদন ফি ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে। আর প্রতিবন্ধী বা অনগ্রসর নাগরিক গোষ্ঠীর ফি ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। এখন থেকে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে আবেদন ও নির্ধারিত নিয়মে ফি জমা দিতে হবে।
পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হলেও বয়স বাড়ানোর বিষয়ক পরীক্ষার্থীদের দাবি মানা হয়নি। অর্থাৎ বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের বয়সসীমা আগের মতোই আছে। সাধারণ আবেদনকারীর বয়সসীমা হতে হবে ২১-৩০ বছরের মধ্যে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ক্ষেত্রে তা হবে ২১-৩২ বছর। এছাড়া চাকরিতে আবেদনের যোগ্যতাও অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিসিএস পরীক্ষায় নিয়োগের ক্ষেত্রে এত দিন ১৯৮২ সালের ‘দ্য বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (এইজ, কোয়ালিফিকেশন অ্যান্ড এক্সামিনেশন ফর ডিরেক্ট রিক্রুটমেন্ট) রুলস অনুসরণ করা হতো। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৪ জারির মাধ্যমে তা রহিত করা হয়।