অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ
কুলাউড়ার ইউএনও স্ট্যান্ড রিলিজ
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ
কুলাউড়া প্রতিনিধি ::
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুল ইসলামকে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। সিলেট বিভাগীয় কমিশনার স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স বার্তায় ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে নতুন কর্মস্থল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় যোগদান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে ইউএনও’র অনিয়মের বিরুদ্ধে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কুলাউড়ার মো. আব্দুল কাদির ও আলেয়া বেগম।
জানা যায়, কুলাউড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসিনা ইসলাম গত ১৪ জুন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে গেছেন। এরপর থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন ইউএনও মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম। তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়েই ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. জসিম উদ্দিনের যোগসাজশে ঘুষ দুর্নীতি শুরু করেন। গভীর রাত পর্যন্ত চালানো হয় ভূমি অফিসের কার্যক্রম। লোকজনের আনাগোনা থাকে প্রচুর। বড় অংকের টাকার বিনিময়ে ভিপি সম্পত্তি পর্যন্ত নামজারী করে দেয়ার বিষয়টি অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
লিখিত অভিযোগে মো. আব্দুল কাদির ও আলেয়া বেগম জানান, তারা খ তফশিলের কিছু ভূমি নামজারী করতে আবেদন করেন। এজন্য সার্ভেযার মো. জসিম উদ্দিন ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। কিন্তু মো. আব্দুল কাদির ইউএনও’র সম্মুখে ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে, ইউএনও ভূমি অফিসের কর্মচারীদের ডেকে এনে তাকে ৫শ টাকা জরিমানা করেন। এদিকে আলেয়া বেগম অভিযোগ করেন, তার পৈত্রিক কিছু ভূমির নামজারী করতে গেলে সার্ভেয়ার মো. জসিম উদ্দিন তার কাছে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। তিনি ৩৩ হাজার টাকা ঘুষ দেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর তিনি নামজারীর খোঁজ নিলে সার্ভেয়ার মো. জসিম উদ্দিন তাকে জানান, টাকা দিলেই কাজ হয় না। সময় লাগবে অপেক্ষা করেন। এভাবে বর্তমানে ভূমি অফিসে ঘুষ দুর্নীতি অনেকটা প্রকাশ্য রূপ নেয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভূমি অফিসের দুর্নীতিই নয় ইউএনও’র বিরুদ্ধে হাটবাজার ও জলমহাল ইজারায় দু’পক্ষের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করা হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম জানান, এসি ল্যান্ড না থাকায় আমাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। দিনরাত কাজ করেও কাজ শেষ করা যায় না। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মো. আব্দুল কাদিরকে জরিমানা করা হয়েছে।