সৌদি পৌঁছেছেন ৬৩ হাজার ৬১১ হজযাত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৭:২০ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
চলতি বছরের হজ-পূর্ব ফ্লাইটে এ পর্যন্ত ৬৩ হাজার ৬১১ জন হজযাত্রী জেদ্দা পৌঁছেছেন, যা এ বছর বাংলাদেশ থেকে মনোনীত মোট হজযাত্রীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। এর মধ্যে বার্ধক্যজনিত কারণে জেদ্দায় মারা যান ১৩ জন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ১৯ সেপ্টম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এবং সৌদিয়া এয়ারলাইনসের হজ-পূর্ব ১৬৬টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী জেদ্দা পৌঁছেছেন। যার মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ছিল ৯৫টি এবং সৌদিয়া এয়ারলাইনসের ৭১টি। এ পর্যন্ত যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ১ হাজার ৪১৮ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৬২ হাজার ১৯৩ জন।
এদিকে এ পর্যন্ত সৌদি আরবে বাংলাদেশী হজযাত্রীদের মধ্যে মারা গেছেন ১৩ জন। বার্ধক্যজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে পুরুষ ১১ ও নারী দুজন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার মারা গেছেন পাবনা জেলার ৬২ বছর বয়স্ক মো. আকবর হোসাইন। তার পাসপোর্ট নম্বর বিএ০০৪৯৬৬১। তিনি এসএম ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে সৌদি আরব গিয়েছিলেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আইটি হেল্প ডেস্ক সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবে আইটি হেল্প ডেস্ক থেকে এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ১৪৯টি সেবা দেয়া হয়েছে। এছাড়া সৌদি আরবে চিকিত্সা দল ১২ হাজার ৩৬২টি চিকিত্সাপত্র দিয়েছে। হাজিদের লাগেজ হারানোর অভিযোগ জমা পড়েছে ১০২টি। এর মধ্যে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ৮১টি।
উল্লেখ্য, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৯৮ হাজার ৭৯৯ জন হজযাত্রী হজ পালন করতে সৌদি আরব যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ হাজার ৫৩৪ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯৭ হাজার ২৬৫ জন হজ পালন করবেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীদের জন্য ৩৭ জন গাইডও যাচ্ছেন। অন্যদিকে এবার বেসরকারি হজ ব্যবস্থাপনায় অংশ নিয়েছে ৮৩৫টি এজেন্সি। হজ-পূর্ব ফ্লাইট চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ৮ অক্টোবর এবং শেষ হবে ৭ নভেম্বর। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার ৪ অক্টোবর হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজ করতে সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ সময়ে হজে যেতে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) বাধ্যতামূলক করায় চলতি বছর হজযাত্রীর সংখ্যা কমেছে। গত বছরও ১ লাখ ২৮ হাজার হজযাত্রী পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল সরকার। তবে শেষ পর্যন্ত ৮৭ হাজার ৮৫৪ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গিয়েছিলেন। ওই সময় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার হজ সম্পাদনে সৌদি সরকারের বিধিনিষেধ থাকায় হজযাত্রী কমে যায়।