হা, না ভোটে না জয়ী
ইংল্যান্ডেই থাকছে স্কটল্যান্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ণ
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক ::
এই ফলাফল লাখ লাখ ব্রিটনের মতো প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকেও স্বস্তি এনে দিল। স্কটল্যান্ডের গণভোট নিয়ে ডেভিড ক্যামেরনের প্রধানমন্ত্রিত্ব হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি দেশটির মিত্ররাও যুক্তরাজ্যের সম্ভাব্য ভাঙ্গনের শঙ্কায় পড়েছিলেন।
স্কটল্যান্ডের ৩২টি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে ইতোমধ্যে ৩১টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে থাকতে চাওয়ার পক্ষে ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর স্বাধীনতাকামীরা পেয়েছেন ৪৫ শতাংশ ভোট।
স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্কটল্যান্ড আত্মপ্রকাশ করবে কি না তা নিয়ে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভোটের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার দিনভর ঐতিহাসিক গণভোটে ভোট দেয়ার জন্য প্রায় ৯৭ শতাংশ ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন। ‘না’ ভোট জয়ী হলে স্কটল্যান্ড যুক্তরাজ্যের সঙ্গেই থাকবে, আর ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ হতো স্কটল্যান্ডের।
কিন্তু শুক্রবার ৩১টি নির্বাচনী এলাকার ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যাচ্ছে, ‘না’ ভোটই জয়যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ স্কটিসরা যুক্তরাজ্যের সঙ্গেই থাকতে চায়।
স্কটল্যান্ডের ৪২,৮৫,৩২৩ জন ভোট দেয়ার জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন যা মোট ভোটের ৯৭ শতাংশ। দেশটির ৩২টি কাউন্সিলের নাগরিকরা এই ভোটে অংশ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় রাত ১০টায়। দেশটির ২৬০৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলে।
স্কটিস ন্যাশনালিস্ট পার্টির উপনেতা নিকোলা স্টারগেওন দাবি করেছেন, “দেশজুড়ে হাজারো মানুষের মতো আমিও সর্বাত্মকভাবে স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছি। কিন্তু হতাশার সঙ্গে জানাতে হচ্ছে আমরা খুব স্বল্প ব্যবধানে হেরে যাচ্ছি।”
স্বাধীনতার পক্ষগোষ্ঠী যেখানে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন বিপরীতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে থাকতে চাওয়া গোষ্ঠী ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ আর উল্লাসে মেতে উঠছে। আশা করা হচ্ছে যুক্তরাজ্যের রাণী এলিজাবেথ ও প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এই ফলাফল উপলক্ষ্যে বিবৃতি দেবেন।
স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার পক্ষগোষ্ঠী সবচে বড় শহর গ্লাসগোতে জয় লাভ করলেও অন্যান্য নির্বাচনী এলাকায় প্রত্যাশিত ফল লাভে ব্যর্থ হয়।