মৌলভীবাজারে ২ কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, লাশ উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১১:২১ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক রিপোর্ট :
মৌলভীবাজারের শহরের চাঁদনীঘাট ও কমলগঞ্জের শিমুলতলা থেকে জবা আক্তার তাহমিনা (১১) এবং শেফালি বাত্তি (৯) নামে ২ কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কমলগঞ্জের শিমুলতলা এলাকার ধলাই নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। সে কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মদনমহনপুর চা বাগানের চা শ্রমিক গতি বাপ্পীর মেয়ে।
মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুষ্পকুমার কানু জানান, গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) হিন্দুদের গঙ্গাস্থান পুজা উপলক্ষে মদনমহনপুর ধলাই নদীতে স্নান করতে নামে কিশোরী। এক পর্যায়ে সে ডুবে যায়। অনেক খোঁজাখোঁজির পর তাকে পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে শিমুলতলা এলাকায় হঠাৎ তার লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কমলগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন থেকে জবা আক্তার তাহমিনা (১১) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোরে দীঘলগজি গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত জবা চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের দীঘলগজি গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে। নিহতের মা পেয়ারা বেগম জানান, জবার সৎ বাবা মিজানের সাথে তিনি বর্তমানে সংসার করছেন। এনজিও এর টাকা নিয়ে তার সাথে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হয়।
বুধবার রাতে এনিয়ে তার কথা কাটাকাটি হওয়ার পর রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজ ঘরের পাশের বাঁশ গাছে ওড়না দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় জবার লাশ দেখতে পান পেয়ারা বেগম। এদিকে সকাল থেকেই সৎ বাবা মিজান পলাতক থাকায় তিনি সন্দেহ করছেন মিজানই মেয়েকে হত্যা করে বাঁশে ঝুলিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়না তদন্তের পর জানা যাবে। পলাতক বাবাকে বের করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।