অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উদ্যোগ নেই
কুলাউড়ায় রেলওয়ের জমি জবরদখল
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ
রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশে গড়ে উঠেছে এসব অবৈধ স্থাপনা। তাছাড়া রেলওয়ের জমিতে অনেক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের সাথে রেলওয়ের কর্মকর্তারা সরাসরি জড়িত।
কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনসহ বিভিন্ন স্টেশন এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোন উদ্যোগনেই । রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশে গড়ে উঠেছে এসব অবৈধ স্থাপনা। তাছাড়া রেলওয়ের জমিতে অনেক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের সাথে রেলওয়ের কর্মকর্তারা সরাসরি জড়িত।
কুলাউড়া জংশন স্টেশন এলাকায় রেলওয়ের জায়গার কোন সীমানা নির্ধারণ করা নেই। ফলে রেলওয়ের এক চতুর্থাংশ জমি বেহাত হয়ে গেছে। রেলওয়ের লিজকৃত জমিতে কোন স্থায়ী দালান কোটা নির্মাণের বিধান না থাকলেও বেশিরভাগ প্রভাবশালী লিজ গ্রহীতা শর্ত ভঙ্গ করে নির্মাণ করছেন বহুতল ভবন। এসব অবৈধ স্থাপনা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে হাতবদল হয়। অনেক স্থাপনায় দেয়া হয়েছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে অবগত থাকলেও এসব বন্ধে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। স্কুল চৌমুহনী এলাকায় রেলওয়ের জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনার কারণে একাধিকবার ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। কিছুদনি আগে রেলক্রসিংয়ে গেইট নির্মাণ করা হলেও উচ্ছেদ হয়নি অবৈধ স্থাপনা।
ইতিমধ্যেই কুলাউড়ায় রেলওয়ের ১৫০ টি কোয়ার্টারের মধ্যে ৬০ টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এসব পরিত্যক্ত বাসায় রেলওয়ের কোন কতৃত্ব নেই। সবগুলো বাসাই অবৈধ দখলে রয়েছে। অথচ এসব বাসায় অবৈধভাবে দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ। নানা সমাজ বিরোধী কর্মকা-ের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে এসব পরিত্যক্ত বাসা।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া স্টেশন মাস্টার মহিদুর রহমান, কুলাউড়া রেলওয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্যর সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা ফোন ধরেননি।
পরে রেলওয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল আহাদ খান জানান, রেলওয়ের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।