সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা শুরু
প্রথম দিন আহরণ ১৩৬ কোটি টাকা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক ::
রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী আয়কর মেলা। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গতকাল মঙ্গলবার এর উদ্বোধন করেন। প্রথম দিনেই করদাতাদের পদচারণে মেলা প্রাঙ্গণ ছিল মুখর। সেরা করদাতাদের কমার্শিয়ালি ইম্পর্ট্যান্ট পার্সন (সিআইপি) মর্যাদা দেয়ার ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এর আয়োজক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রাজধানী ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে করমেলা চলছে। শেষ হবে ২২ সেপ্টেম্বর। তিন পার্বত্য জেলায় ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় একদিন মেলার আয়োজন করছে আয়কর অনুবিভাগ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ১৬ কোটি মানুষের দেশে মাত্র ১২ লাখ করদাতা নিয়মিত আয়কর বিবরণী জমা দেন। এ সংখ্যা নিতান্ত কম। আয়কর দেয়ার ক্ষেত্রে করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কর আহরণ করতে গিয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়া যাবে না। এছাড়া ভয় যেন না পান, সেদিকে কর আহরণকারীদের খেয়াল রাখতে হবে। প্রত্যক্ষ কর বাড়লে সরকার মানুষকে আরো বেশি সেবা দিতে পারবে বলে জানান তিনি। এনবিআর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের মত নিয়ে শীর্ষ করদাতাদের সিআইপি মর্যাদা দেয়ার বিষয়ে কাজ শুরু করা হবে।
প্রথম দিন মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় করদাতারা আয়কর বিবরণী জমা দিতে পারছেন। এর সঙ্গে নতুন ও পুরনো করদাতাদের ই-টিআইএন খোলা, আগে চালু করা ই-টিআইএনের ভুল সংশোধন, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করা এবং আয়করসংক্রান্ত পরামর্শও দেয়া হচ্ছে।
মেলায় বসানো হয়েছে ২৭টি হেল্প ডেস্ক। প্রতিটিতে দুজন রাজস্ব কর্মকর্তা করদাতাদের ফরম পূরণ ও আয়করের হিসাব নির্ধারণসহ এ-সংক্রান্ত পরামর্শ দিচ্ছেন। রিটার্ন দাখিলের জন্য ৪৪টি বুথের প্রতিটিতে দুজন কর্মকর্তা রয়েছেন। রয়েছে ই-পেমেন্টের জন্য একটি, অধিক্ষেত্র জানার জন্য নয়টি ও আটটি ব্যাংক বুথ। এছাড়া নতুন ও পুরনো করদাতাদের ই-টিআইএন খুলে দেয়ার জন্য একটি বড় ডেস্কে ৪৪ জন বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন।
এবারের মেলা থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এনবিআর। এর আগের বছর মেলা থেকে আয় হয়েছিল ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। গত বছর মেলায় ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭ জন আয়কর বিবরণী জমা দেন। সেবা নেন ৫ লাখ ১০ হাজার ১৪৫ জন। এবারের মেলায় আয়কর ও সেবাগ্রহীতা উভয়ই বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।