‘আওয়ামী লীগের সব নেতাকে কেনা যায়’ – শেখ হাসিনা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
নিজ দলের নেতাদের ওপর ক্ষোভের প্রকাশ ঘটালেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৪ সেপ্টেম্বর রোববার সংসদ অধিবেশন শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগের সব নেতাকে ‘কেনা যায়’। এদিন সংসদে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনের বিল নিয়ে সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন হয়, যে উদ্যোগের সমালোচনা রয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যেও।
অধিবেশন শেষে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ, দবিরুল ইসলাম, আব্দুল মতিন খসরু, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ কয়েকজন শেখ হাসিনার দিকে এগিয়ে বিচারপতিদের অপসারণ সম্পর্কিত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়ে কথা বলতে থাকেন।
একই সময় প্রধানমন্ত্রীর পেছনের আসনে থাকা প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সামনের সারিতে বসা কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীও দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান।
কয়েকজন সংসদ সদস্য সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে ড. কামাল হোসেন এবং ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের অবস্থান তুলে ধরে বিচারপতিদের সরানোর ক্ষমতা সংসদের হাতে ফেরানো নিয়ে বিভিন্ন জটিলতার কথা বলছিলেন।
শেখ হাসিনা তখন অধিবেশন কক্ষ থেকে বের হতে হতেই বলেন, “আওয়ামী লীগের সব নেতাকে কেনা যায়। এটাই সমস্যা। শেখ হাসিনা ছাড়া।”
তার এই কথা সংসদের গ্যালারি থেকেও শোনা যাচ্ছিল। এর আগে অধিবেশন চলাকালীন নিজ আসন ছেড়ে অন্যের আসনে বসায় হুইপ আতিউর রহমান আতিককে ধমক দেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।
ওই সময় ‘বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২’ পাসের প্রক্রিয়া চলছিল। প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ কথা বলার পর তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু তখন ঠিক পেছনের সারিতে আইনমন্ত্রীর পাশে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসনে গিয়ে বসেন। পাশে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের আসনটি ফাঁকা দেখে সেখানে এসে বসেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আতিক।
এক পর্যায়ে ফিরোজ, আনিসুল হক, ইনু ও আতিক নিজেদের মধ্যে কথা বলতে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ পেছন ফিরে আতিকের দিকে তাকিয়ে বলেন, “সব সময় এখানে কী? এখানে এত কথা কী? পেছনে গিয়ে বসেন।” সঙ্গে সঙ্গে আতিক রেলমন্ত্রীর আসন ছেড়ে পেছনে নিজের আসনে গিয়ে বসেন।