ইহুদি নেতার আল-আকসায় প্রবেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৩:৪২ অপরাহ্ণ
ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটের ডেপুটি স্পিকার মোশে ফিগলিন ১৪ সেপ্টেম্বর রোববার ইসরাইলি সৈন্যবাহিনীর পাহারায় পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসায় ঢুকেছেন। এই ইহুদি নেতা পবিত্র মসজিদটি গুঁড়িয়ে সেখানে ইহুদি মন্দির নির্মাণের আহবান জানিয়েছিলেন। মিডল ইস্ট মনিটর এ খবর প্রকাশ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে অনাদুলু অ্যাজেন্সি জানিয়েছে, ‘ফিগলিন ২০ জন বসতি স্থাপনকারীকে নিয়ে বলপূর্বক আল-মাগরেবি গেট দিয়ে আল-আকসা কম্পাউন্ডে প্রবেশ করেন।’
ওই ব্যক্তি জানান, ফিগলিনের সফরের সময় ইসরাইলি বাহিনী ৪০ ঊর্ধ্ব কোনো ফিলিস্তিনিকে মসজিদ কম্পাউন্ডে প্রবেশ করতে দেয়নি।
মুসলিম এন্ডমেন্ট এবং আল আকসাবিষয়ক মহাপরিচালক শেখ আজ্জাম আল-খাতিব বলেন, ফিগলিন আল-আকসা মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে ইহুদি মন্দির নির্মাণের জন্য কুখ্যাত।
আল-খতিব ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে প্রবেশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য আরব ও ইসলামি বিশ্বের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে চরমপন্থী ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় প্রায়ই আল-আকসা কমপ্লেক্সে প্রবেশ করছে। এতে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের মধ্যে ক্রোধের সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে সংঘর্ষও ঘটে।
মুসলিমদের কাছে আল-আকসা মসজিদ তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরা স্থানটিকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে।
ইসরাইল ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ওই এলাকা দখল করে নেয়। তবে ইহুদির জন্য আল-আকসা কম্পাউন্ডে প্রার্থনা করা নিষিদ্ধ করে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে ইসরাইলি রাজনীতিবিদ অ্যারিয়েল শ্যারন আল-আকসায় প্রবেশ করার প্রতিবাদে ‘দ্বিতীয় ইন্তিফাদা’ সৃষ্টি হয়। ওই সময় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
নয়াদিগন্তের সৌজন্যে