মুহিত-বারকাতের নতুন বাহাস
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ২:০১ অপরাহ্ণ
তাকী মোহাম্মদ জোবায়ের
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও জনতা ব্যাংকেরসদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান ড. আবুল বারকাতের বাহাস এখন সর্বত্র আলোচনার বিষয়।সারাদেশেই এটা নিয়ে বিতর্ক চলছে। সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকারের বইনিয়ে বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন সরকারদলীয়এই দুই ব্যক্তি। এতে একদিকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে সরকার। অন্যদিকে ‘থলেরবিড়াল’ বেরিয়ে পড়ায় বিরোধীরা উৎফুল্ল বোধ করছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেবলা হয়েছে, এটা দুজনের ব্যক্তিগত বিষয়। তবে একে ক্ষমতার দ্বন্দ্বেরবিব্রতকর প্রকাশ বলে উল্লেখ করেছেন বিশিষ্টজনেরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরঅর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. আবুল বারকাত ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগেরনির্বাচনী ইশতেহার প্রণেতাদের একজন। তার ঘনিষ্ঠজন সূত্রে জানা যায়, সরকারক্ষমতায় আসলে তার আশা ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হবেন। তবে এই পদটি পানআরেক ইশতেহার প্রণেতা ড. আতিউর রহমান। ড. বারকাতকে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতাব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ দেয়া হয়।
জানা যায়, বারকাত এই পদে সন্তুষ্ট ছিলেননা। তার বিভিন্ন সময়ের বক্তব্য ও কার্যকলাপেও তা ফুটে ওঠে। তিনি গভর্নরকেআক্রমণ করে বিভিন্ন সময়ে বক্তব্য রাখেন। জনতা ব্যাংকের বোর্ড কেন্দ্রীয়ব্যাংকের নির্দেশ মানে না- গভর্নর প্রকাশ্যে একাধিকবার এ ধরনের অভিযোগতুলেছেন। অর্থমন্ত্রী গত মেয়াদের শেষ সময়ে ঘোষণা দেন, পরের বার ক্ষমতায়আসলে তিনি আর অর্থমন্ত্রী হবেন না। বারকাতের ঘনিষ্ঠজনদের সূত্রে জানা যায়, এসময় অর্থমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন ড. বারকাত। এই সরকারের অর্থমন্ত্রীহওয়ার জন্য তিনি বিভন্ন মহলে তদবিরও করেন। তবে প্রধানমন্ত্রী মুহিতকেইঅর্থমন্ত্রী করেন। এতে ড. বারকাত কিছুটা মনঃক্ষুণ হন বলে জানা গেছে। এইক্ষোভ থেকেই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বিতর্কের সূচনা হয়েছে বলে মনে করছেনসংশ্লিষ্টরা।
বিতর্কের সূচনা হয় গত ৮ তারিখে একটি নার্সিং কলেজেরভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে। ওই সময় ড. বারকাত অভিযোগ করেন, নৌকাবাইচ প্রোগ্রামেসিএসআর থেকে অর্থ না দেয়ায় অর্থমন্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সিএসআর(কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা) কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রীচিঠি দিয়ে ওই অর্থ দাবি করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন বারকাত। এর জবাবেসচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন জনতাব্যাংক ছিল সবচেয়ে ভাল অবস্থানে। কিন্তু বর্তমানে এ ব্যাংকের অনেক অবক্ষয়হয়েছে। এর দায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকেও নিতে হবে। মূলধন ঘাটতি ও খেলাপিঋণ অনেক বেড়েছে। প্রায় সব কিছুই খারাপ। বারকাতের কথা উল্লেখ করে বলেন, ওনারমেয়াদ আর বাড়ানো হচ্ছে না। তাই ওনার ক্ষোভ থাকতে পারে। তাই এ ধরনের কথাবলছেন। এর জবাবে গত বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জনতা ব্যাংকের পাঁচ বছরেরসিএসআর কার্যক্রম নিয়ে প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ড. বারকাতবলেন, অর্থমন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন। তার জনতা ব্যাংকের কাছে ক্ষমা চাওয়াউচিত।
ওই অনুষ্ঠানে বারকাত অর্থমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের সমালোচনা করেবলেছিলেন, তিনি ইংরেজির ছাত্র। অর্থনীতির কী বোঝেন? তিনি মানুষকে মানুষ মনেকরেন না। এই জন্য তিনি খবিশ ও রাবিশ জাতীয় শব্দ ব্যবহার করেন। তার কাছথেকে ন্যূনতম শিষ্টাচার, ভদ্রতা আশা করি না। এ ছাড়াও অর্থমন্ত্রীকেস্বাধীনতাবিরোধী এবং ’৭১ সালে তিনি কোথায় ছিলেন, জিয়ার আমলে কী করেছেন আর১/১১-এর সময় তার ভূমিকা কী ছিল- এই বিষয়গুলো জাতির জানা উচিত বলে মন্তব্যকরেন আবুল বারকাত। আবুল বারকাত বলেন, তিনি (অর্থমন্ত্রী) একটি বিশেষঅঞ্চলের লোকদের নিয়োগ, পদোন্নতিতে সবসময় তদবির করেছেন। চলেন আইএমএফ আরবিশ্বব্যাংকের কথামতো। আমি তার কথায় চেয়ারম্যান হইনি। আমি প্রধানমন্ত্রীরকথায় চেয়ারম্যান হয়েছি।
এসব বক্তব্যের জবাবে অবশ্য এখন পর্যন্ত মুহিতকোন মন্তব্য করেন নি। তবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলমহানিফ বলেছেন, তাদের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। এর সঙ্গে সরকারবা দলের কোন সম্পর্ক নেই।
অর্থমন্ত্রী ও জনতা ব্যাংকের বিদায়ীচেয়ারম্যানের বিরোধপূর্ণ এ কথাবার্তায় অনেক অস্বচ্ছ বিষয় বেরিয়ে আসছে বলেমন্তব্য করেছেন অনেকে। আবার ব্যাংকের সাধারণ একজন চেয়ারম্যান হয়েঅর্থমন্ত্রী সম্পর্কে এ ধরনের বক্তব্যকে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেনঅনেকে। এতে ব্যাংকিং খাতের শৃংখলা নষ্ট হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেউকেউ। কারণ এই ঘটনা অন্যদেরও উস্কে দিতে পারে।
কারও কারও মতে, সরকারেরসর্বোচ্চ পর্যায়ে আবুল বারকাতের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকায় তিনি এ দুঃসাহসদেখিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তরালের ঘটনা যা-ই হোক, এটা যে স্বার্থ ওক্ষমতার দ্বন্দ্বের নগ্ন প্রকাশ তাতে কোন সন্দেহ নেই।
অর্থমন্ত্রীহিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত গত পাঁচ বছরে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি এবংরাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ও বেসিক ব্যাংকে বড় ধরনের দুর্নীতি ঠেকাতে ব্যর্থহওয়ায় ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে সাক্ষাৎকারেবাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ এসব ঘটনারজন্য অর্থমন্ত্রীকেই দায়ী করেছেন।
মুহিত ও বারকাতের বাহাসের বিষয়েঅর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, অর্থমন্ত্রী ও আবুল বারকাতেরমধ্যকার বিরোধপূর্ণ কথাবার্তার মাধ্যমে অনেক অস্বচ্ছ বিষয় বেরিয়ে আসছে।অর্থমন্ত্রী কোন গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করে এটা সবাই জানে। আবাররাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে যে লুটপাট হয়েছে এটাও সত্য। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণথেকে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে লোক নিয়োগ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালকড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কাছে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন ওজনস্বার্থ কীভাবে জিম্মি হয়ে গেছে- এর এক বিব্রতকর দৃষ্টান্ত এটি। ঘটনাটিসরকার ও সরকারি দল উভয়ের জন্য অমর্যাদাজনক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেকগভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সিএসআর নীতিমালার আলোকে অর্থ বরাদ্দদিতে হবে। এই ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
ইনকিলাবের সৌজন্যে : ১৪ সেপ্টেম্বর ’১৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. আবুল বারকাত ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণেতাদের একজন। তার ঘনিষ্ঠজন সূত্রে জানা যায়, সরকার ক্ষমতায় আসলে তার আশা ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হবেন। তবে এই পদটি পান আরেক ইশতেহার প্রণেতা ড. আতিউর রহমান। ড. বারকাতকে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ দেয়া হয়। জানা যায়, বারকাত এই পদে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তার বিভিন্ন সময়ের বক্তব্য ও কার্যকলাপেও তা ফুটে ওঠে। তিনি গভর্নরকে আক্রমণ করে বিভিন্ন সময়ে বক্তব্য রাখেন। জনতা ব্যাংকের বোর্ড কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ মানে না- গভর্নর প্রকাশ্যে একাধিকবার এ ধরনের অভিযোগ তুলেছেন। অর্থমন্ত্রী গত মেয়াদের শেষ সময়ে ঘোষণা দেন, পরের বার ক্ষমতায় আসলে তিনি আর অর্থমন্ত্রী হবেন না। বারকাতের ঘনিষ্ঠজনদের সূত্রে জানা যায়, এ সময় অর্থমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন ড. বারকাত। এই সরকারের অর্থমন্ত্রী হওয়ার জন্য তিনি বিভন্ন মহলে তদবিরও করেন। তবে প্রধানমন্ত্রী মুহিতকেই অর্থমন্ত্রী করেন। এতে ড. বারকাত কিছুটা মন:ক্ষুণœ হন বলে জানা গেছে। এই ক্ষোভ থেকেই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বিতর্কের সূচনা হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিতর্কের সূচনা হয় গত ৮ তারিখে একটি নার্সিং কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে। ওই সময় ড. বারকাত অভিযোগ করেন, নৌকাবাইচ প্রোগ্রামে সিএসআর থেকে অর্থ না দেয়ায় অর্থমন্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সিএসআর (কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা) কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী চিঠি দিয়ে ওই অর্থ দাবি করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন বারকাত। এর জবাবে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন জনতা ব্যাংক ছিল সবচেয়ে ভাল অবস্থানে। কিন্তু বর্তমানে এ ব্যাংকের অনেক অবক্ষয় হয়েছে। এর দায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকেও নিতে হবে। মূলধন ঘাটতি ও খেলাপি ঋণ অনেক বেড়েছে। প্রায় সব কিছুই খারাপ। বারকাতের কথা উল্লেখ করে বলেন, ওনার মেয়াদ আর বাড়ানো হচ্ছে না। তাই ওনার ক্ষোভ থাকতে পারে। তাই এ ধরনের কথা বলছেন। এর জবাবে গত বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জনতা ব্যাংকের পাঁচ বছরের সিএসআর কার্যক্রম নিয়ে প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ড. বারকাত বলেন, অর্থমন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন। তার জনতা ব্যাংকের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
ওই অনুষ্ঠানে বারকাত অর্থমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেছিলেন, তিনি ইংরেজির ছাত্র। অর্থনীতির কী বোঝেন? তিনি মানুষকে মানুষ মনে করেন না। এই জন্য তিনি খবিশ ও রাবিশ জাতীয় শব্দ ব্যবহার করেন। তার কাছ থেকে ন্যূনতম শিষ্টাচার, ভদ্রতা আশা করি না। এ ছাড়াও অর্থমন্ত্রীকে স্বাধীনতাবিরোধী এবং ৭১ সালে তিনি কোথায় ছিলেন, জিয়ার আমলে কী করেছেন আর ১/১১-এর সময় তার ভূমিকা কী ছিল- এই বিষয়গুলো জাতির জানা উচিত বলে মন্তব্য করেন আবুল বারকাত। আবুল বারকাত বলেন, তিনি (অর্থমন্ত্রী) একটি বিশেষ অঞ্চলের লোকদের নিয়োগ, পদোন্নতিতে সবসময় তদবির করেছেন। চলেন আইএমএফ আর বিশ্বব্যাংকের কথামতো। আমি তার কথায় চেয়ারম্যান হইনি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কথায় চেয়ারম্যান হয়েছি।
এসব বক্তব্যের জবাবে অবশ্য এখন পর্যন্ত মুহিত কোন মন্তব্য করেন নি। তবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, তাদের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। এর সঙ্গে সরকার বা দলের কোন সম্পর্ক নেই।
অর্থমন্ত্রী ও জনতা ব্যাংকের বিদায়ী চেয়ারম্যানের বিরোধপূর্ণ এ কথাবার্তায় অনেক অস্বচ্ছ বিষয় বেরিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। আবার ব্যাংকের সাধারণ একজন চেয়ারম্যান হয়ে অর্থমন্ত্রী সম্পর্কে এ ধরনের বক্তব্যকে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। এতে ব্যাংকিং খাতের শৃংখলা নষ্ট হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। কারণ এই ঘটনা অন্যদেরও উস্কে দিতে পারে।
কারও কারও মতে, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আবুল বারকাতের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকায় তিনি এ দুঃসাহস দেখিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তরালের ঘটনা যা-ই হোক, এটা যে স্বার্থ ও ক্ষমতার দ্বন্দ্বের নগ্ন প্রকাশ তাতে কোন সন্দেহ নেই।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত গত পাঁচ বছরে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ও বেসিক ব্যাংকে বড় ধরনের দুর্নীতি ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ এসব ঘটনার জন্য অর্থমন্ত্রীকেই দায়ী করেছেন।
মুহিত ও বারকাতের বাহাসের বিষয়ে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, অর্থমন্ত্রী ও আবুল বারকাতের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ কথাবার্তার মাধ্যমে অনেক অস্বচ্ছ বিষয় বেরিয়ে আসছে। অর্থমন্ত্রী কোন গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করে এটা সবাই জানে। আবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে যে লুটপাট হয়েছে এটাও সত্য। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে লোক নিয়োগ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কাছে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন ও জনস্বার্থ কীভাবে জিম্মি হয়ে গেছে- এর এক বিব্রতকর দৃষ্টান্ত এটি। ঘটনাটি সরকার ও সরকারি দল উভয়ের জন্য অমর্যাদাজনক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সিএসআর নীতিমালার আলোকে অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। – See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/09/14/205852.php#sthash.Tf8ffbv6.dpuf