ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহর ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। একই সঙ্গে দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান খন্দকার মাহবুব।
গতকাল শনিবার বেলা দেড়টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদের একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান থেকে বেরোনোর পর মাহবুব উল্লাহর ওপর হামলা করে অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অভিযোগ করেন, ‘ওই ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। আশা করেছিলাম, পুলিশ ঘটনাস্থলে আসবে, আমাদের সঙ্গে কথা বলবে। কিন্তু তারা আসেনি। এই আক্রমণের পেছনে একটি বিশেষ মহলের ইঙ্গিত না থাকলে দুর্বৃত্তদের পক্ষে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো সম্ভব না।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব মনে করেন, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ একজন বুদ্ধিজীবী। তিনি বিভিন্ন টেলিভিশনের টক শোতে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সন্ত্রাসী লাগিয়ে তাঁর ওপর হামলা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক নাসরিন আকতার, কোষাধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ সাঈদ প্রমুখ।
গতকাল হামলার পরপরই মাহবুব উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, অনুষ্ঠান শেষে মিলনায়তনের বাইরে এলে হঠাৎ করে তিনজন দুর্বৃত্ত তাঁর ওপর চড়াও হয়। তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। তারা হামলা চালিয়ে তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। তিনি হামলাকারীদের চেনেন না। পরে আশপাশে থাকা লোকজন এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে বেরিয়ে মাহবুব উল্লাহ ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে খালেদা জিয়ার সমাবেশস্থলে যান। সেখানে বিএনপিপন্থী প্রকৌশলীদের সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসমাবেশ চলছিল।
এ সময় খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশে কেউ এখন নিরাপদ নয়। তাই আমাদের ঘরে বসে থাকলে চলবে না। ঐক্যবদ্ধভাবে এর প্রতিরোধ করতে হবে।’
হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, যদি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে বুঝতে হবে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর নির্দেশেই এ হামলা হয়েছে।
পরে মাহবুব উল্লাহকে রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সমিতির সুপারিনটেনডেন্ট নিমেশ চন্দ্র দাশ বিকেলে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।