রাজনীতিতে ফিরে আসতে খালেদা জিয়ার ৪ নোংরা পথের আশ্রয়
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন খালেদা জিয়া খরচের খাতা থেকে বাদ পড়ে গিয়ে রাজনীতিতে ফিরে আসতে ৪টি নোংরা পথের আশ্রয় নিয়েছেন। ইতিহাস বিকৃতি, জঙ্গীবাদ, বিদেশী প্রভু তোষণ ও ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসতে চাইছেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ সম্পর্কে বলেন, বঙ্গবন্ধু এক বিশাল হাতির সমান। আর মুক্তিযোদ্ধারা পিঁপড়ার সমান। আমি (হাসানুল হক ইনু) বাংলাদেশের পতাকা উড়ালেও আমি পিঁপড়া তুল্য। মুক্তিযোদ্ধারা আত্মকথা, বীরত্বের কথা লিখতে পারেন কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণের যোগ্যতা রাখেন না। মৌলভীবাজার পৌর জনমিলন কেন্দ্রে শনিবার দিনব্যাপি জেলা জাসদ আয়োজিত সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের বুকে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদের কাটাবিদ্ধ হয়েছে। এর মূলোৎপাটন করতে হলে একটু আধটু রক্তপাত হবে তার জন্য উহু আহা করলে চলবে না।
বিচারপতিদের অভিশংসন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আইনের শাসনে বিশ্বাস করলে বিচারপতিরা জবাবদিহিতার বাইরে থাকতে পারেন না। খালেদা জিয়ার সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে আঁতাত সম্পর্কে বলেন যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গীবাদ ও তেতুল হুজুরের সংগে খালেদা জিয়ার সম্পর্ক না থাকলে বাংলাদেশ কিছুটা নিরাপদ ভাবতে পারতাম। একটি যুদ্ধাপরাধী বেঁচে থাকতে আমাদের সামাজিক আন্দোলন থামবে না। শেখ হাসিনার সরকার একটা একটা করে সব যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসিতে ঝুলাবে। দেশের উন্নয়ন সম্পর্কে বলেন, দেশের অর্থনীতি অন্ধকার থেকে আলোর পথে এগিয়ে চলেছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন, নারীদের ক্ষমতায়নে আইন করা হয়েছে, জঙ্গীবাদ নির্মূল করা হচ্ছে, তিন কোটি শিক্ষার্থীর হাতে এক যোগে বছরের শুরুতে বই তুলে দেওয়া হচ্ছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলার রাজনীতিতে ৪ মীর জাফরের আবির্ভাব ঘটে। পলাশীর প্রান্তরে প্রথম, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কতিপয় কুলাঙ্গাররা পাকিস্তানীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে দ্বিতীয় মীর জাফরি, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী খন্দকার মোস্তাক, তৃতীয় মীর জাফর, স্বাধীনতা বিরোধী গোলাম আজমকে বাংলাদেশে এনে জিয়াউর রহমান দেশের সাথে চতুর্থ মীর জাফরি করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ঐক্যের বিকল্প নেই। আমরা ক্ষমতা, অর্থ কিংবা সিট নিয়ে ভাগাভাগির জন্য ঐক্য করিনি। আমরা ঐক্য করেছি নীতির প্রশ্নে। আমরা যদি ১৪ দলের শরীক হই, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি হই তাহলে টেন্ডারবাজি বা দলবাজি নয় জঙ্গীবাদ নির্মূলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
জেলা জাসদের সভাপতি আব্দুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন নজরুলের সঞ্চালনায় প্রতিনিধি সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আম্বিয়া, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. ছালেক, লোকমান আহমদ, জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ, জাসদের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমিনুর রহমান, যুক্তরাজ্য জাসদের সভাপতি হারুনূর রশীদ প্রমুখ।