বোর্ডের লাইসেন্স ছাড়াই আমদানি হচ্ছে চা
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৬:৩৫ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক :::
দেশে চা আমদানির পরিমাণ বাড়ছে প্রতি বছরই । ২০১৩ সালে চা আমদানি হয়েছে ১ কোটি কেজি। ২০১২ সালে এর পরিমাণ ছিল ৫০ লাখ কেজি। এক বছরেই চা আমদানি বেড়েছে দ্বিগুণ। কিন্তু প্রয়োজনীয় সরকারি লাইসেন্স ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে এসব চা আমদানি করা হচ্ছে।
চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ইস্পাহানি, আবুল খায়েরসহ দেশের বড় কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান চা আমদানি করছে। চা অধ্যাদেশ ১৯৭৭-এর ৭(ঝ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, চা আমদানি করতে আমদানিকারদের চা বোর্ড থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। কিন্তু বোর্ড থেকে কোনো লাইসেন্স না নিয়েই বছরের পর বছর চা আমদানি করে চলছেন আমদানিকারকরা।
দেশে এখন ১৬৬টি চা-বাগান এবং ২৫৭ জন ক্ষুদ্র চাষী চা উৎপাদন করছেন। এর মধ্যে মৌলভীবাজারে ৯০টি, হবিগঞ্জে ২৩, চট্টগ্রামে ২২, সিলেটে ২০, পঞ্চগড়ে ৯ ও রাঙ্গামাটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি করে চা বাগান রয়েছে। দেশের চা বাগানগুলোর মোট আয়তন ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর হলেও বর্তমানে চা চাষ হয় মাত্র ৫৭ হাজার হেক্টর জমিতে। ৫৯ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে বর্তমানে চা চাষ হয় না। ২০১৩ সালে দেশের চা বাগানগুলোয় ৬ কোটি ৫০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ভোগের পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ২০ লাখ কেজি। রফতানি হয়েছে প্রায় ৫ লাখ কেজি। ২০০৮ সালে দেশে উৎপাদিত চায়ের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৮৬ লাখ কেজি। ২০১৩ সালে ভোগের পরিমাণ ৫ কোটি ২১ লাখ কেজি। আর রফতানি হয়েছে ৮০ লাখ কেজি। ২০০৪ সালে চা উৎপাদন হয়েছে ৫ কোটি ৬০ লাখ কেজি, ভোগের পরিমাণ ৪ কোটি ৩৩ লাখ কেজি আর রফতানি হয় ১ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা। অন্যদিকে ২০০৩ সালে দেশে উৎপাদিত চায়ের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৮৩ লাখ কেজি।
অর্থাৎ ১০ বছরে দেশে চা উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ৬৭ লাখ কেজি। চা উৎপাদন বৃদ্ধির চেয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চায়ের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে অধিক হারে। ফলে বিগত বছরের মতো ২০১৪ সালেও চা আমাদনি বলবত এবং তা আগের ধারাতেই লাইসেন্সবিহীন। এর ফলে দেশ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয়ে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারি কঠোর পদক্ষেপে লাইসেন্সবিহীন চা আমদানী রোধ করতে পারলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ার সাথে সাথে বাংলাদেশের চা শিল্পের জন্য সুফল বয়ে আনবে নিঃসন্দেহে।