সমিতির লোকজনের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টার অভিযোগ : সবুজ বাংলা সমবায় সমিতির রোপিত গাছ কেটে নিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ
সদর উপজেলা সংবাদদাতা
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমোদনকৃত মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মীরপুর সবুজ বাংলা বহুমুখী সমবায় সমিতি লি. এর বনায়নকৃত গাছ দুস্কৃতিকারীরা কেটে নিয়েছে। সম্প্রতি এই চক্রটি সমিতির লাগানো একটি গাছ কেটে সমিতির লোকজনের উপর দোষ চাপানোর পাঁয়তারা ও মামলা করার হুমকি দিচ্ছে বলে সমিতির লোকজন অভিযোগ করেন।
সমিতির লোকজনের সাথে আলাপ করে ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে মীরপুর এলাকার মনু ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঢালে গাছের চারা রোপনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে ২৯,৮০০ কি. মি. থেকে ৩০, ৫১৬ কি.মি এরিয়ার ৭১৬ মিটার জায়গা বন্দোবস্ত নেয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেঁধে দেয়া শর্ত অনুযায়ী এই জায়গাতে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২ হাজার গাছের চারা রোপন করা হয়। গাছ রোপনের সময় এই এলাকার ফরিদ মিয়া (৫০), আছাব মিয়া (৩০), নূরুল মিয়া (২৭), নাজমুল মিয়া (২৪)সহ কতিপয় ব্যক্তি বাঁধা দেয়। তারা দাবি করে এই জায়গাটি তাদের ভোগ দখলীয়। তখন সমিতির লোকজন জায়গাটি তাদের ভোগ দখলীয় দাবি করে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে বন্দোবস্তু নেয়া কাগজ পত্র দেখালে তারা প্রকাশ্যে আর কোন বাঁধা সৃষ্টি করেনি। কিন্তু গাছের চারা রোপনের পর থেকে উল্লেখিত ব্যক্তিরা গোপনে গাছের চারা উপড়াইয়া ফেলতে থাকে এবং অনেক ক্ষতি সাধন করে। পরে সমিতির লোকজন রোপিত গাছের চারা দেখাশুনা করার জন্য পাহারার ব্যবস্থা করেন। রোপিত চারাগুলো বড় হলে পাহারা বন্ধ করে দেয়া হয়। এই সুযোগে ২০১৩ সালের ৪ জুন রাতে এই চক্র ২০টি আকাশমনি গাছ কেটে নেয়। এ ঘটনায় সমিতির পক্ষ থেকে সমিতির সহ-সভাপতি শেখ আবেদ আহমদ বাদী হয়ে ফরিদ মিয়া, আছাব মিয়া, নূরুল মিয়া ও নাজমুল মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ১৮/২০ জনের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যা মৌলভীবাজার মডেল থানায় ১/৮/২০১৩ তারিখে সাধারণ ডাইরি ভূক্ত হয়। ডাইরি নং ৬১।
এদিকে গত ৩০ আগস্ট আবারো একটি আকাশমনি গাছ কেটে নেয় অজ্ঞাত দুস্কৃতিকারীরা। এ ঘটনায় সমিতির লোকজন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সবুজ বাংলা বহুমুখী সমবায় সমিতি লি. এর সাধারণ সম্পাদক শিবলী নোমানী বলেন, চিিহ্নত দুষ্কৃতিকারীরা বারবার সমিতির লাগানো গাছ কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে। এ চক্রটি এখন সমিতির লোকজনের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্নভাবে আমাদের হয়রানীসহ মামলা-মোকাদ্দমার হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী ফয়জুর রবের মুঠেফোনে (০১৭১১৪৩৩৪৩৭) বারবার যোগাযোগ করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।