এক গরু চোরের পিছনে ৩ থানার পুলিশ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ আগস্ট ২০১৪, ৪:৪৩ অপরাহ্ণ
রাজনগর প্রতিনিধি
এক গরু চোরের পিছনে ধাওয়া করেন তিন থানার পুলিশ। অতঃপর গরু চোরকে আটক করতে সক্ষম হয় তারা। ৩০ আগস্ট শনিবার রিমান্ডের আবেদন করে আটক গরু চোরকে মৌলভীবাজার আদালতে পাঠিয়েছে রাজনগর থানার পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোররাতে রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের চাঁদভাগ গ্রামের হিরা মিয়ার ১টি মহিষ ও আনোয়ার মিয়ার ২টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় একদল চোর। গরু ও মহিষ ট্রাকে তুলে মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়ক দিয়ে সিলেটের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিল তারা। বিষয়টি রাজনগর থানার টহল পুলিশ টের পেয়ে তাদের পিছে ধাওয়া করে। ট্রাক নিয়ে চোরের দল ফেঞ্চুগঞ্জ থানা এলাকায় ঢুকে পড়লে রাজনগর থানা পুলিশ ফেঞ্চুগঞ্জ থানার টহল পুলিশকে খবর দেয়। তারাও ধাওয়া করে ট্রাকটির পেছনে। কিন্তু চোরের দল এবারও ট্রাক নিয়ে ঢুকে যায় মোগলাবাজর মেট্রোপলিটন থানা এলাকায়। এবার ফেঞ্চুগঞ্জ থানার পুলিশ মোগলাবাজার থানাকে খবর দেয়। মোগলাবাজার মেট্টোপলিটন থানার পুলিশ পিছু নেয় চোরের দলের। যখন পুলিশ চোরের দলের কাছাকাছি পৌছে যায় তখন পুলিশের গাড়িকে বেকায়াদয় ফেলতে একটি গরুকে চলন্ত ট্রাক থেকে পুলিশের গাড়ির সামনে ফেলে দেয় চোররা। তবে কোন প্রতিবন্ধকতা চাড়াই পুলিশ চোরদের ট্রাক অনুসরণ করে আগাতে থাকে। এসময় পুলিশ ৫ রাউন্ড গুলিও ছুঁড়ে। তবে সেখানে তাদের আটকানো সম্ভব হয়নি।
অবশেষে সিলেটের রিকাবিবাজার এলাকায় তাদের আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এসময় চোরদের বহনকৃত ট্রাক, ১টি মহিষ, ২টি গরুসহ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার তবলপুর গ্রামের আব্দুল আহাদ মিয়ার ছেলে পেশাদার গরুচোর মো. আলী আকবরকে (২৬) আটক করে পুলিশ। বাকীরা পালিয়ে যায়। শুক্রবার রাতে মহিষের মালিক হিরা মিয়া বাদী হয়ে রাজনগর থানায় মামলা (নং-২২) করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহমান বলেন, আটককৃত আলী আকবর চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছে। তার সঙ্গে থাকা অপর চোরদের আটকের চেষ্টা চলছে। শনিবার রিমান্ডের আবেদন করে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।