নারীর দেহঘড়ি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ আগস্ট ২০১৪, ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ
নারীদেহে এক ধরনের এলার্ম ঘড়ি কাজ করে, এমন ধারণা পুরনো। আধুনিক বিজ্ঞানও কিন্তু এ ধারণাকেই সমর্থন করছে। দেহঘড়ির এ টিকটিকানি নারীকে প্রজননে মনোযোগী করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে কোনো ঘড়ির শব্দ কানে গেলেই নারীর জলদি বিয়ে এবং সন্তানের মা হওয়ার ইচ্ছা জাগে।
মার্কিন গবেষকরা পুরুষ এবং নারীর প্রজননবিষয়ক আচরণের ওপর ছোট্ট একটা ঘড়ির শব্দের প্রভাব নিয়ে দুটি পরীক্ষা চালান। প্রথম পরীক্ষায় তারা ৫৯ নারী এবং পুরুষের কাছে জানতে চান কবে নাগাদ তারা বিয়ে করে সংসারী হবেন।
দ্বিতীয় পরীক্ষায় তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে তারা কোন গুণগুলোকে গুরুত্ব দেবেন। শৈশবে তাদের বাবা-মার আর্থিক অবস্থা কেমন ছিল সে সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়।
দেখা যায়, যেসব নারীর শৈশবে আর্থিক অবস্থা খারাপ ছিল তারাই টিকটিক শব্দে প্রভাবিত হন। তারা দ্রুত সন্তানের মা হতে চান। এক্ষেত্রে পুরুষের সামাজিক মর্যাদা ও উপার্জনের ক্ষমতাও তাদের কাছে কম গুরুত্বপূর্ণ।
হিউম্যান নেচার জার্নালে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে আরও দেখানো হয়, ধনী পরিবারের মেয়েরা ঘড়ির শব্দ শুনে সঙ্গী নির্বাচনে বেশি খুঁতখুঁতে হয়।
মজার ব্যাপার হলো, পুরুষদের কিন্তু ঘড়ির শব্দ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর নারী আর সন্তান জন্ম দিতে পারেন না। যে কারণে সময় ফুরিয়ে যাওয়ার ভয়টা তাদের বেশি।’ ডেইলি মেইল অনলাইন।