পোশাকে ব্যক্তিত্ব
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ নভেম্বর ২০১৩, ৪:৫৯ অপরাহ্ণ
পোশাক ও ব্যক্তিত্ব একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বরঞ্চ আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতে উপযোগী পোশাকই কাফি। কারণ মুহূর্তের সাক্ষাতে আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে কেউ বুঝতে পারবে না। আপনার পোশাক আপনার রুচির আয়না। আবার পোশাক যে সবসময় নতুন আর হাল ফ্যাশানের হতে হবে এমনও কোন মানে নেই। একটু সচেতন হলেই সবদিক ঠিক রেখেই নির্বাচন করতে পারেন নিজের পোশাক।
♦ পোশাক পুরোনো হতে পারে; কিন্তু কখনও যেন নোংরা না হয়। ঝকঝকে পরিষ্কার, মাড় দেওয়া (পোশাক বুঝে), আয়রন করা পরিপাটি পোশাক পরুন।
♦ কাজের সঙ্গে মানানসই ও আরামদায়ক পোশাক পরুন। কাজের চেয়ে পোশাক যেন বেশি গুরুত্ব না পায়। পোশাক যেন আপনার সহকর্মীদের সঙ্গে এমন ব্যবধান তৈরি করে না দেয়, যা দলগত কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
♦ আপনার পদের অন্য সহকর্মীরা কী ধরনের পোশাক পরছেন খেয়াল করুন। পোশাক নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামবেন না। নিজের ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরিতে পোশাক নির্বাচন করুন।
♦ পোশাকের সঙ্গে আছে নানা অনুষঙ্গ, যেমন—অলংকার, ঘড়ি, জুতা, সুগন্ধি, চুলের কাটিং, মেকআপসহ অনেক কিছু। সঙ্গে থাকে আরও ব্যবহার্য জিনিসপত্র, যেমন—ছাতা, ক্যাপ, ব্যাগ ইত্যাদি। এগুলো সঠিকভাবে নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে চুলের কাটিং, অলংকার ও সুগন্ধি। এ সব কিছুই পোশাকের সঙ্গে রুচিশীল এবং আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হওয়া দরকার।
♦ পর পর দুই দিন একই পোশাক পরা এড়িয়ে চলুন। এতে যেমন নতুনত্ব আসে না, তেমনি থাকে না বৈচিত্র্য। একেক দিন একেক পোশাক ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পরুন।
♦ অন্যকে অনুসরণ না করে চেষ্টা করুন নিজে পোশাক নির্বাচন করতে। এমনভাবে করুন, যাতে অন্যরা আপনাকে অনুসরণ করে। এ প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করতে হলে ফ্যাশন, প্রতিষ্ঠান ও আপনাকে কেমন লাগবে—এই তিনটি বিষয়ে আপনাকে আসলেই দক্ষ হতে হবে।
♦ নতুন পোশাক পরে আপনাকে কেমন লাগছে, তার সঠিক মতামত সংগ্রহ করুন। সে অনুযায়ী পরবর্তী পোশাক নির্বাচন করুন। পোশাক নির্বাচনে প্রয়োজনবোধে প্রশিক্ষণও নিতে পারেন, যা আপনার দেহের গঠন ও ত্বকের রং অনুযায়ী অফিস পোশাক, পার্টি পোশাক, ভ্রমণ পোশাক, ঋতুভেদে পোশাক ইত্যাদি বিষয়ে আপনাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।